হরিনাকুণ্ডুতে নবাগত ইউএনও’র সাথে বিশিষ্টজনদের ‘মাস্টারপ্ল্যান’ মিটিং, শহরজুড়ে উত্তেজনা
- আপডেট সময় : ১০:২৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসনে এক নতুন যুগের সূচনা! সদ্য যোগদান করা, তুখোড় অফিসার বলে পরিচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মোঃ দিদারুল আলম মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর, ২০২৫) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় উপজেলার সর্বস্তরের রাজনৈতিক মহারথী, জনপ্রতিনিধি, ঝানু সাংবাদিক ও ডাইনামিক ছাত্রনেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক ‘হাই-ভোল্টেজ’ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এই বৈঠক ঘিরে জেলার রাজনীতি থেকে সাধারণ মানুষ—সবার চোখ ছিল হরিনাকুণ্ডুর দিকে।
ইউএনও’র প্রথম টার্গেট হলো একটি ‘জনকল্যাণমুখী প্রশাসন’ গড়ে তোলা, যেখানে তিনি সকলের ‘আন্তরিক সহযোগিতা’ চাইলেন। তাঁর এই আন্তরিক আহ্বানেই কার্যত মঞ্চ প্রস্তুত হলো এক অভূতপূর্ব ঐক্যের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষের এই সভায় যেন এক মেগা-স্টার সমাবেশ ঘটে! মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন: রাজনৈতিক অঙ্গনের জামায়াতের উপজেলা আমীর বাবুল হোসেন, বিএনপির উপজেলা সেক্রেটারি তাইজাল হোসেন, এবং জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি ইদ্রিস আলী। চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মাহবুব মুরশেদ শাহীন, শাহানুর আলম ও আব্দুস সামাদ।বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম, শিবির নেতা মোহাম্মদ রাশেদ ও আকিমুল ইসলাম।
বক্তারা উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, যোগাযোগ-এর মতো চিরাচরিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, সার, মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্য বিবাহ, আত্মহত্যা-র মতো সামাজিক ব্যাধি এবং সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক সহাবস্থান-এর মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলি অত্যন্ত জোরের সঙ্গে তুলে ধরেন।
নেতৃবৃন্দ নবাগত ইউএনও’র কাছে দাবি জানান, তিনি যেন উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হিসেবে তাঁর ‘সরকার প্রদত্ত সক্ষমতাকে শতভাগ’ কাজে লাগান।
উপস্থিত সকল বিশিষ্টজন একটি ‘আলোকিত মানবিক হরিনাকুণ্ডু’ গড়ার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইউএনও-কে সর্বাত্মক সহযোগিতার অগ্নিশপথ নেন। এই অঙ্গীকারই এখন হরিনাকুণ্ডুর নতুন আলোচনার বিষয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈশিতা আক্তার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, সাংবাদিক এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দ। এই মতবিনিময় সভা হরিনাকুণ্ডু প্রশাসনের সাথে জনগণের সেতুবন্ধনে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


















