স্থানীয়করণের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিতে ফিরতে টেকসই সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান

- আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

জাকারিয়া মোহাম্মদ ইমন:-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবে বর্তমান প্রজন্ম যখন নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, তখন স্থানীয়করণের মাধ্যমে কৃষি, দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতি ও টেকসই সমাজ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে ঢাকার রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো বিশ্ব স্থানীয়করণ দিবস।
সোমবার (২৩ জুন, ২০২৫) ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ (আইডাব্লিউবি) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কমিউনিটির বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দেশীয় ফলমূল ও শাকসবজির প্রদর্শনী। শিশুদের কাছে বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির ফল ও শাকসবজি পরিচিত করানো হয়। পাশাপাশি, ঔষধি গাছের গুণাবলি সম্পর্কে জানাতে প্রতিটি গাছের পাশে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনীতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীসহ নানা ঐতিহ্যবাহী উপকরণ স্থান পায়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়াতে একটি কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ, এর কৃষি, শিল্প ও ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে নানা প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়।
বিশ্ব স্থানীয়করণ দিবসের গুরুত্বকে রূপ দিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্কুল গার্ডেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আয়োজক সংস্থার সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাগানে নানা ধরনের দেশীয় শাকসবজির চারা রোপণ করে।
সমাপনী বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের শিশুরা অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারছে। কিন্তু তাদের এই জানাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার কারণ তারা তাদের দেশ সম্পর্কে অনাগ্রহী। দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি বিষয়ে অবগত নয়। এখন সময় এসেছে তাদের এসকল বিষয় জানানোর। তাই স্থানীয়করণ দিবসের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আশা করি, শিশুরা নিজেদের দেশকে চিনবে এবং দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরবে।”
ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার বরনী দালবত ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজনে অনুষ্ঠানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।