মোঃতৌহিদুর রহমান, ক্রামই রিপোর্টার,যশোর।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল (সেন্টার) গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা হলেন-একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সজুন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী হিমেলের সহপাঠী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পার্থ নামে এক সহপাঠী বন্ধু মোবাইল ফোনে হিমেলকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায় পরিবার। পরে রাত হলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানায়।এ অবস্থায় নিখোঁজ হিমেলকে উদ্ধারে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া হিমেলে অপর বন্ধু মেহেদী, শিমুল ও সুজন নামে আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে নিহত হিমেলের মাথায় আঘাত, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে মাথায় আঘাত ও চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত-জখম করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.