সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ, এইচএসসি ফলাফলে ধস

- আপডেট সময় : ০৫:২২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

তৌফিকুর রহমাম তাহের,বিশেষ প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। উপজেলার অধিকাংশ কলেজেই পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফলাফল একেবারেই নাজুক। দিরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৯টি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজসহ মোট ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৭৬১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৭৮৭ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১১ জন।
সার্বিকভাবে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, দিরাই
সরকারি ডিগ্রি কলেজে ৮৬৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৮৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাসের হার ৫৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিবিয়ানা মডেল কলেজে ৩৬৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৮১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
জগদল কলেজে ৮৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৪ জন, পাসের হার ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজে ১৮০ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৯ জন, পাসের হার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
ডাঃ সৈয়দ মনোয়ার আলী আটগ্রাম কলেজে ৩০ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮ জন, পাসের হার ২৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
রজনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ৪৭ জনের মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৩ জন, পাসের হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমিতে ৪৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ২০ জন, পাসের হার ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ১২২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৩ জন, পাসের হার ৩৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। চরনারচর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩ জন, পাসের হার ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, উপজেলার একমাত্র আলিম প্রতিষ্ঠান হাজী মাহমদ মিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা তুলনামূলকভাবে ভালো ফলাফল করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪২ জন, পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মনে করছেন, দিরাই উপজেলার কলেজগুলোর শিক্ষার মান, শিক্ষক সংকট, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ-এসব কারণেই ফলাফল ক্রমেই নিচের দিকে যাচ্ছে। তাদের মতে, কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, নিয়মিত একাডেমিক পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে এ অবস্থা আরও হতাশাজনক হতে পারে।