ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখা মাদক বিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার-০১ জন

সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

সিরাজগঞ্জর চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেয়ার কথা বললে শিশুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী, শিশুর ফুপাতো ভাই ছাবির হাসান (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এতথ্য জানিয়েছে। তারা আদালত ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এতথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকাদি হাইস্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকাদি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা আসামি ছাবির হাসানের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য ছাবির হাসানকে ৭ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সাবির হাসান শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন দল বেঁধে ধর্ষন করে শিশুটিকে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দিবো। এ কথা শুনে ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরাধে হত্যা করে মরদহ ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২০ সালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্তেরর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায় শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাবির হাসান (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন

আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

সিরাজগঞ্জর চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেয়ার কথা বললে শিশুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী, শিশুর ফুপাতো ভাই ছাবির হাসান (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এতথ্য জানিয়েছে। তারা আদালত ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এতথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকাদি হাইস্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকাদি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা আসামি ছাবির হাসানের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য ছাবির হাসানকে ৭ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সাবির হাসান শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন দল বেঁধে ধর্ষন করে শিশুটিকে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দিবো। এ কথা শুনে ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরাধে হত্যা করে মরদহ ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২০ সালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্তেরর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায় শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাবির হাসান (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।