স্টাফ রিপোর্টার:-
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় ৪টি মাদ্রাসার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫২ জন তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
রোববার ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা গেছে। পাস না করা প্রতিষ্ঠান ও পরিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো,হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ১৩ জন, বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা ১৫ জন,বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসা ১২ জন ও এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা ১২।
আলহাজ্ব আহমদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেফায়েত উল্লাহ্ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও হয় ১৯৯৮ সালে। প্রতি বছরই শিক্ষার্থীরা পাস করে। কিন্তু করোনার প্রভাব পরায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস না করা এবং মেয়েদের বাল্যবিয়ে হওয়াতে কেউ পাস করতে পারেনি। সোমবার (১৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ছাত্র ছাত্রী,অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ জনগনের সাথে, তাঁরা জানান সুপার সাহেবের চরম অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। প্রায় দিনই তিনি মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকেন।
বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিন বলেন,মাদ্রাসাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকে। যার ফলে এবার কেউ পাস করতে পারেনি।
এলংজানী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদৎ হোসেন বলেন,ক্লাস না করার ফলে সবাই ফেল করেছে। আর এ কারনেই আমরা এখন লজ্জিত।
বগুড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিকুর রহমান জানান,শিক্ষার্থীরা ঠিকমতে পড়াশনা না করার কারণে ফেল করেছে। পড়াশনার জন্য বার বার তাগিদ দিয়েও কাজ হলো না। সবাই ফেল করলো। প্রতিষ্ঠানের সুনাম আর থাকলো না।
উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ,কে,এম শামছুল হক বলেন,ফেল করা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন , ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.