ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাউজানে আশরাফিয়া আবুশাহ মিয়া জব্বারিয়া মঈনীয়া এতিমখানা ও হেফজখানা উদ্বোধন চট্টগ্রামে বাগীশিকের মাস্টার ট্রেইনার কর্মশালা সম্পন্ন সিবিসি পরীক্ষা”করতে না চাওয়ায় রোগীর মুখে থাপ্পড় চিকিৎসকের জামালপুরে গ্রেপ্তারকৃত যুব মহিলালীগ সভাপতি কারাগারে চুয়াডাঙ্গায় অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্টসহ গ্রেফতার-০২জন শ্যামনগর উপজেলায় তারেক জিয়া পরিষদের কমিটি অনুমোদন ৩য় তম বার্ষিকী দৈনিক সাতক্ষীরা সকাল শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার গ্রেফতার ২ শ্যামনগরে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন রাণীশংকৈলে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গা পূজা পালন করা হবে সহকারী পুলিশ সুপার

সিবিসি পরীক্ষা”করতে না চাওয়ায় রোগীর মুখে থাপ্পড় চিকিৎসকের

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে



‎রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ‘সিবিসি রিপোর্ট’ করতে না চাওয়ায় মহিলা রোগীর মুখে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।

‎অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম দেবাসীস বিশ্বাস।তিনি ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

‎অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৫ বছর বয়সী মোছা: ঝর্ণা গত সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে একদিন পর একদিন সিবিসি পরীক্ষা করতে বলেন।কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর ডা: দেবাশীষ বিশ্বাস রাউন্ডে গিয়ে সিবিসি পরীক্ষা করতে বললে রোগী সিবিসি পরীক্ষা করতে রাজি না হয়ে বলেন ডা: জাকির হেসেন আমাকে একদিন পর একদিন সিবিসি পরীক্ষা করতে বলেছেন।

‎এ নিয়ে রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস রোগী ঝর্ণা বেগমের গালে থাপ্পড় মেড়ে বলেন আমার কথা না শুনলে আরো বেশি মারবো।


‎সরজমিনে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ঝর্না বেগম সিবিসি পরীক্ষা করতে না চাওয়ায় ডাক্তার তাঁর মুখে থাপ্পড় মারেন।থাপ্পড়ের পর রোগী কান্না কাটি করতে থাকে। পরে বিষয়টি তাঁর পরিবারের জানালে ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস এসে রোগীর পায়ে ধরে মাফ চেয়ে বলেন আমি আপনার ছেলের মতো আমাকে মাফ করে দেন।



‎তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, রোগীর সাথে সিবিসি পরীক্ষা করা নিয়ে তার কেবল কথা কাটাকাটি হয়েছে। তার দাবি,রোগীর গায়ে হাত দিয়ে আমি জ্বর দেখছিলাম আমি রেগীর মুখে থাপ্পড় মারিনি এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ। এবিষয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাথে কথা বলেন তিনি সব জানেন।


‎ভুক্তভোগী পরিবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‎এবিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, এ ধরণের ঘটনা আসলে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে আশা করিনা। তিনি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।তবে এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সিবিসি পরীক্ষা”করতে না চাওয়ায় রোগীর মুখে থাপ্পড় চিকিৎসকের

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫



‎রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ‘সিবিসি রিপোর্ট’ করতে না চাওয়ায় মহিলা রোগীর মুখে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।

‎অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম দেবাসীস বিশ্বাস।তিনি ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।

‎অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৫ বছর বয়সী মোছা: ঝর্ণা গত সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে একদিন পর একদিন সিবিসি পরীক্ষা করতে বলেন।কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর ডা: দেবাশীষ বিশ্বাস রাউন্ডে গিয়ে সিবিসি পরীক্ষা করতে বললে রোগী সিবিসি পরীক্ষা করতে রাজি না হয়ে বলেন ডা: জাকির হেসেন আমাকে একদিন পর একদিন সিবিসি পরীক্ষা করতে বলেছেন।

‎এ নিয়ে রোগী ও রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস রোগী ঝর্ণা বেগমের গালে থাপ্পড় মেড়ে বলেন আমার কথা না শুনলে আরো বেশি মারবো।


‎সরজমিনে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ঝর্না বেগম সিবিসি পরীক্ষা করতে না চাওয়ায় ডাক্তার তাঁর মুখে থাপ্পড় মারেন।থাপ্পড়ের পর রোগী কান্না কাটি করতে থাকে। পরে বিষয়টি তাঁর পরিবারের জানালে ডাঃ দেবাশীষ বিশ্বাস এসে রোগীর পায়ে ধরে মাফ চেয়ে বলেন আমি আপনার ছেলের মতো আমাকে মাফ করে দেন।



‎তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, রোগীর সাথে সিবিসি পরীক্ষা করা নিয়ে তার কেবল কথা কাটাকাটি হয়েছে। তার দাবি,রোগীর গায়ে হাত দিয়ে আমি জ্বর দেখছিলাম আমি রেগীর মুখে থাপ্পড় মারিনি এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ। এবিষয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাথে কথা বলেন তিনি সব জানেন।


‎ভুক্তভোগী পরিবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‎এবিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, এ ধরণের ঘটনা আসলে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে আশা করিনা। তিনি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।তবে এবিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিবেন।