সিংগাইরে জামসা ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান লাঞ্ছিত, মোটর সাইকেল ভাঙচুর

- আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মোবারক হোসেন,মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-সিংগাইরে জামসা ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান লাঞ্ছিত, মোটর সাইকেল ভাঙচুর ! সিংগাইরে ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা করতে এসে লাঞ্ছিত হয়েছেন জামসা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান। ভাঙচুর করা হয়েছে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ২ টারদিকে ইউনিয়ন পরিষদে এমন ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান দক্ষিণ জামশা গ্রামের মৃত আব্দুল আলী মাস্টারের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। রবিবার ২টারদিকে সে ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে এসে সভা শুরু করেন। বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের ২০-২৫ নেতা কর্মী চেয়ারম্যানকে অফিস থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে । এ সময় তিনি প্রতিবাদ করলে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তারা চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করে। ভাঙচুর করে চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল।ও পরিশোধ থেকে চলে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে বসা অবস্থায় বিএনপি’র তারা নামের এক ব্যক্তি লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেয় তখন আত্মরক্ষার জন্য সে ওখান থেকে চলে যায়
জামশা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্বাহী আদেশে আমিসহ সিংগাইর উপজেলার ৯ চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক ক্ষমতা বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
পরে আমরা হাইকোর্ট রীট করে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ফিরে পাই। সে অনুযায়ী গত ১১ মার্চ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ শুরু করি। রবিবার ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা করতে যাই।
সভার শেষ পর্যায়ে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বাদল, সদস্য সচিব সোহাগ হোসেন আকাশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি আল মামুন ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা সেন্টু এবং রুহুলের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমাকে পরিষদ হতে বের হয়ে যেতে বলে।
আমি প্রতিবাদ করলে তর্ক -বিতর্কের এক পর্যায়ে অপরিচিত আরো কয়েকজন এসে আমাকে লাঞ্ছিত করে। রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে গ্লাস ও সাইলেন্সার
তছনছ করে তারা।
এদিকে জামসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আল মামুন বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে আওয়ামীপন্থী চেয়ারম্যান পরিষদের আসার খবরে প্রতিবাদ মুখর জনতা তাকে বের করে দেয়। অপরদিকে দলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, তাকে সতর্ক করে দেয়া সত্বেও অফিস থেকে বের না হওয়ায় জনগণ তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, আমি শুনেছ যতটুকু শুনেছি মোটর সামান্য ভাংচুর হয়েছে। তবে তেমন ক্ষতি হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।