“সাভারে বিএনপি নেতার অফিসে হামলা জিয়া পরিবারের ছবি ভাংচুর এর অভিযোগ”

- আপডেট সময় : ০৫:২১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে

রাজ রোস্তম আলী স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ
সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের অফিস ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমান এর ছবি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৯ টারদিকে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঝাউচার বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তেঁতুলঝরা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে নিজের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টারদিকে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে বাজারে শোডাউন দেয়। তার উপস্থিতিতে বাজারে আলমগীর হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস ও তার আপন বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম মনির এর ওষুধের ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও আন্তঃজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের ছোট ভাইসহ শরীফসহ তার লোকজন। এ সময় তারা আলমগীর হোসেনের অফিসের দেয়ালে টাঙানো জিয়া পরিবারের ছবি ভেঙে ফেলে দেয়। অফিসে থাকা প্রায় ৫০টি চেয়ার ওষুধের ফার্মেসিতে ভাঙচুর করে চলে যায়।
হামলার শিকার একজন আলমগীর হোসেনের ভাতিজা রিফাত বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। রাত ৯টার দিকে ইসমাইল হোসেন সিরাজী দলবল নিয়ে বাজারে শোডাউন দিতে থাকেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা আলমগীর কাকার অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে নিজের অনুসারীদের দিয়ে আমার অফিস ভাঙচুর করেছেন ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও আওয়ামী লীগের দোসর আন্তঃজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের লোকজনসহ ৪০-৪৫ জন আমার অফিস ও বড় ভাইয়ের ফার্মেসীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
এছাড়াও তারা আমার নেতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও আমাদের আগামীর দেশ নায়ক তারেক রহমান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমানের ছবিও ভেঙে ফেলে দিয়েছে।’
আলমগীর হোসেন বলেন, হামলার সময় আমরা অফিসেই ছিলাম, হঠাৎ করে তারা দলবল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, এ ঘটনায় আমার বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম মনির (৪৮) গুরুতর আহত হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এছাড়াও রিফাত (২৫), শামীম আহমেদ (২৫) এবং আমিসহ আরো তিন জন আহত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা মূলত সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীব ও তার ছোট ভাই সমরের অনুসারী। আওয়ামী লীগের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্যই তারা আজ ভোল পাল্টে বিএনপি’র পরিচয় দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি, এছাড়ও জিয়া পরিবারের ছবি ভেঙে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অনুরোধ জানান তিনি। আমরা ব্যবহৃত একটি রামদাও ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে।
সাভার মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।