ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঠাকুরগায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে চরম বিপদে, সহযোগিতা কামনা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইকগাছা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা হারুয়ালছড়িতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ সোনাগাজীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সান জেনারেল হাসপাতালের মতবিনিময় ফেনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো দ্বিতীয় কারাগার পরকীয়ার জেরে কৃষক ইসহাক হত্যা,১৬ ঘণ্টার মধ্যেই মূল আসামি গ্রেফতার রাজাপুরে ইউএনওকে সংবর্ধনা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত মনিরামপুরে বজ্রপাতে মাছ শিকারীর মর্মান্তিক মৃত্যু

সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে

রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সহযোগী রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ কাজি বশর ও তার সহযোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম কার্যক্রম পরিচালনা করে ছিল। এই আওয়ামী লীগ নেতা বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী শাসন আমলে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা নিয়ে এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অত্যাচার নির্যাতনে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিএনপির নেতা কর্মীরা তার ও তার সহযোগীদের অত্যাচারের কারণে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতা পালিয়ে গেলেও এই নেতা এলাকায় অবস্থান করে অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তার অন্যতম সহযোগী দিদারসহ আরো কয়েকজন বিশ্বস্থ ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততা রয়েছে, যেটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে তদারকি করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সহ দূর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় সচিব কে সন্দীপে বদলী করে। গত ২২/০৫/২০২৫ইং বাগোয়ান ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ মঈন উদ্দীনের কাছে চাঁদা দাবি করে, যার কারণে সেই নিরুপায় হয়ে রাউজান থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন (যাহার মামলা নং-৩৭৪/২৫)। বিগত আওয়ামী শাসন আমলে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানির জন্য নাম ঠিকানা দিয়ে আওয়ামী পুলিশকে সহযোগিতা করতো এই কাজী বশর ও তার সহযোগীরা এখনো এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সরকার বিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ তালুকদার জানান আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবুল বশর দলীয় লোকজনকে মামলা হামলায় সহযোগিতা করেছে সে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার উপর হামলার জন্য সরাসরি জড়িত ছিল সে এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছ এবং দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এসমস্ত অপকর্মগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানা স্বর্তেনিরব ভূমিকা পালন করছে। তাই দক্ষিণ রাউজানের সর্বস্তরের জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা কাজী বশর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলনা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর

আপডেট সময় : ০৮:০৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সহযোগী রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ কাজি বশর ও তার সহযোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম কার্যক্রম পরিচালনা করে ছিল। এই আওয়ামী লীগ নেতা বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী শাসন আমলে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা নিয়ে এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অত্যাচার নির্যাতনে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিএনপির নেতা কর্মীরা তার ও তার সহযোগীদের অত্যাচারের কারণে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতা পালিয়ে গেলেও এই নেতা এলাকায় অবস্থান করে অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তার অন্যতম সহযোগী দিদারসহ আরো কয়েকজন বিশ্বস্থ ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততা রয়েছে, যেটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে তদারকি করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সহ দূর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় সচিব কে সন্দীপে বদলী করে। গত ২২/০৫/২০২৫ইং বাগোয়ান ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ মঈন উদ্দীনের কাছে চাঁদা দাবি করে, যার কারণে সেই নিরুপায় হয়ে রাউজান থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন (যাহার মামলা নং-৩৭৪/২৫)। বিগত আওয়ামী শাসন আমলে বিএনপির নেতা কর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানির জন্য নাম ঠিকানা দিয়ে আওয়ামী পুলিশকে সহযোগিতা করতো এই কাজী বশর ও তার সহযোগীরা এখনো এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সরকার বিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ তালুকদার জানান আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবুল বশর দলীয় লোকজনকে মামলা হামলায় সহযোগিতা করেছে সে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার উপর হামলার জন্য সরাসরি জড়িত ছিল সে এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছ এবং দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এসমস্ত অপকর্মগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানা স্বর্তেনিরব ভূমিকা পালন করছে। তাই দক্ষিণ রাউজানের সর্বস্তরের জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা কাজী বশর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলনা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান