ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝালকাঠি-১ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মোটর শোভাযাত্রা উত্তর ধুলিয়ার ইকবাল হোসেন রুবেলের প্রতারণা শিকার হয়ে বহু যুবক নিঃস্ব হয়ে মানবতর জীবন যাপন করছে সোনাগাজী উপজেলা ইমাম পরিষদ’র কমিটি ঘোষণা কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা দেবহাটা চীনেডাঙ্গা এতিম খানা মাঠে উন্মুক্ত ওয়ার্ড সভা পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের জিমনেসিয়াম ভবন উদ্বোধন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইলেকট্রিশিয়ানদের মতবিনিময় সভা সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করেছেন সাংবাদিক নির্যাতন পতিরোধ সেল বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান রাণীশংকৈলে সড়কে প্রাণ গেল ১ আদিবাসীর

সান্তার গ্রামেও পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ২১৪ বার পড়া হয়েছে

শান্তার গ্রামেও পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ। 

সান্তা ক্লজ অবশ্যই আছেন৷ কমপক্ষে সুমেরু বৃত্তের কাছে ফিনল্যান্ডের এক গ্রামে  তো বটেই৷ তাঁর কাজের শেষ নেই৷ চিঠি পড়া, উপহার বণ্টন, গোটা বিশ্বের শিশুদের সঙ্গে দেখা করা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ ইতোমধ্যে সান্তা ক্লজ ও তাঁর গ্রাম পর্যটকদের কাছে ফিনল্যান্ডের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হয়ে উঠেছে৷

হাতে কাজ না থাকলে সান্টা প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে ভালোবাসেন৷ সান্তা বলেন, ‘‘গ্রীষ্মকালে জঙ্গলে হাঁটতে যেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি৷ কখনো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু রুডল্ফও সঙ্গে যায়৷ ওই যে, যার নাকটা লাল৷ কখনো আবার ছদ্মবেশি সান্তাও সঙ্গে আসে৷’’

প্রকৃতিও সেই গ্রামের জাদুময় পরিবেশের অংশ৷ রেইন ডিয়ার অথবা হাস্কি কুকুরে টানা স্লেজে ভ্রমণ পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়৷ সান্তা ক্লসের গ্রাম সুমেরু বৃত্তের একেবারে উপরে থাকায় সেটাও একটা বড় আকর্ষণ৷ সেখানে ভিড়ও কম হয় না৷ প্রতি বছর প্রায় তিন লাখ মানুষ বড়দিনের পরিবেশ উপভোগ করতে সেখানে যান৷

কিন্তু বিমানযাত্রা, পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ও বড়দিনের সব উপহার পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে বৈকি৷ স্থানীয় হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে ইউহানি ইকোনেন মনে করেন, ভ্রমণ ও পর্যটন নিঃসন্দেহে অনেক কার্বন নির্গমন ঘটাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

সে কারণে অনেক হোটেল ইতোমধ্যে পর্যটন ক্ষেত্র আরো টেকসই করে তোলার চেষ্টা করছে৷ শহরের এক হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে ইউহানি ইকোনেন হিটিংয়ের জন্য শুধু জিওথার্মাল জ্বালানি ব্যবহার করছেন৷ মাটির নীচ থেকে আসা সেই উত্তাপ প্রায় কোনো নির্গমনই ঘটায় না৷ ইউহানি ইকোনেন মনে করেন, ‘‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও ভবিষ্যতের কথা ভাবা সার্থক৷ বিশেষ করে কোম্পানি হিসেবে শীতকাল বা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হলে তো বটেই৷ প্রকৃতি ধ্বংস করে ফেললে কোম্পানিও বন্ধ হয়ে যাবে৷ ভবিষ্যতের কথা ভাবতেই হবে৷”

সেখানকার সব হোটেল ফিনল্যান্ডের  সরকারের কাছে টেকসই ব্যবসার সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে৷ তাছাড়া তারা এক পর্যটন সমবায়েরও অংশ, সমবেতভাবে নির্গমন কমানো যার লক্ষ্য৷ অনেকে আবার আরো এক ধাপ এগিয়ে সান্টা ক্লসের অনুগত বাহন, অর্থাৎ রেইন ডিয়ারগুলির দেখাশোনা করে৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই প্রাণীগুলি হুমকির মুখে পড়েছে৷ রেইন ডিয়ার আস্তাবলে রাখা যায় না৷ প্রকৃতির কোলে চরে বেড়ানোই এই প্রাণীর অভ্যাস৷ এর ফলে প্রাণী ও বনজঙ্গল, দুই পক্ষেরই উপকার হয়৷ গাছের ডাল খাওয়ার সময়ে এই প্রাণীগুলি উদ্ভিদগুলিকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে৷

টেকসই প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী হোটেলগুলি শুধু সেই সব রেইনডিয়ার কাজে লাগায়, যেগুলি শহরের বাইরে সামি উপজাতি পালন করে৷ এমন আচরণ প্রাণী, জঙ্গল ও সামি উপজাতির ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে৷

বড়দিন আনন্দের উৎসব৷ ফিনল্যান্ডের এই গ্রাম সেই আনন্দ বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “সান্তার গ্রামেও পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সান্তার গ্রামেও পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

শান্তার গ্রামেও পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ। 

সান্তা ক্লজ অবশ্যই আছেন৷ কমপক্ষে সুমেরু বৃত্তের কাছে ফিনল্যান্ডের এক গ্রামে  তো বটেই৷ তাঁর কাজের শেষ নেই৷ চিঠি পড়া, উপহার বণ্টন, গোটা বিশ্বের শিশুদের সঙ্গে দেখা করা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷ ইতোমধ্যে সান্তা ক্লজ ও তাঁর গ্রাম পর্যটকদের কাছে ফিনল্যান্ডের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হয়ে উঠেছে৷

হাতে কাজ না থাকলে সান্টা প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে ভালোবাসেন৷ সান্তা বলেন, ‘‘গ্রীষ্মকালে জঙ্গলে হাঁটতে যেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি৷ কখনো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু রুডল্ফও সঙ্গে যায়৷ ওই যে, যার নাকটা লাল৷ কখনো আবার ছদ্মবেশি সান্তাও সঙ্গে আসে৷’’

প্রকৃতিও সেই গ্রামের জাদুময় পরিবেশের অংশ৷ রেইন ডিয়ার অথবা হাস্কি কুকুরে টানা স্লেজে ভ্রমণ পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়৷ সান্তা ক্লসের গ্রাম সুমেরু বৃত্তের একেবারে উপরে থাকায় সেটাও একটা বড় আকর্ষণ৷ সেখানে ভিড়ও কম হয় না৷ প্রতি বছর প্রায় তিন লাখ মানুষ বড়দিনের পরিবেশ উপভোগ করতে সেখানে যান৷

কিন্তু বিমানযাত্রা, পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ও বড়দিনের সব উপহার পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে বৈকি৷ স্থানীয় হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে ইউহানি ইকোনেন মনে করেন, ভ্রমণ ও পর্যটন নিঃসন্দেহে অনেক কার্বন নির্গমন ঘটাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

সে কারণে অনেক হোটেল ইতোমধ্যে পর্যটন ক্ষেত্র আরো টেকসই করে তোলার চেষ্টা করছে৷ শহরের এক হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে ইউহানি ইকোনেন হিটিংয়ের জন্য শুধু জিওথার্মাল জ্বালানি ব্যবহার করছেন৷ মাটির নীচ থেকে আসা সেই উত্তাপ প্রায় কোনো নির্গমনই ঘটায় না৷ ইউহানি ইকোনেন মনে করেন, ‘‘অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও ভবিষ্যতের কথা ভাবা সার্থক৷ বিশেষ করে কোম্পানি হিসেবে শীতকাল বা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হলে তো বটেই৷ প্রকৃতি ধ্বংস করে ফেললে কোম্পানিও বন্ধ হয়ে যাবে৷ ভবিষ্যতের কথা ভাবতেই হবে৷”

সেখানকার সব হোটেল ফিনল্যান্ডের  সরকারের কাছে টেকসই ব্যবসার সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করে৷ তাছাড়া তারা এক পর্যটন সমবায়েরও অংশ, সমবেতভাবে নির্গমন কমানো যার লক্ষ্য৷ অনেকে আবার আরো এক ধাপ এগিয়ে সান্টা ক্লসের অনুগত বাহন, অর্থাৎ রেইন ডিয়ারগুলির দেখাশোনা করে৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই প্রাণীগুলি হুমকির মুখে পড়েছে৷ রেইন ডিয়ার আস্তাবলে রাখা যায় না৷ প্রকৃতির কোলে চরে বেড়ানোই এই প্রাণীর অভ্যাস৷ এর ফলে প্রাণী ও বনজঙ্গল, দুই পক্ষেরই উপকার হয়৷ গাছের ডাল খাওয়ার সময়ে এই প্রাণীগুলি উদ্ভিদগুলিকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে৷

টেকসই প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী হোটেলগুলি শুধু সেই সব রেইনডিয়ার কাজে লাগায়, যেগুলি শহরের বাইরে সামি উপজাতি পালন করে৷ এমন আচরণ প্রাণী, জঙ্গল ও সামি উপজাতির ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে৷

বড়দিন আনন্দের উৎসব৷ ফিনল্যান্ডের এই গ্রাম সেই আনন্দ বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷