সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী

- আপডেট সময় : ০৬:২৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি প্রতিনিধি:
সম্প্রতি আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের পরপরই সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সোচ্চার, এরই সুযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোশে আবাসিক হলগুলো নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় বাকৃবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সেখানে অংশগ্রহণ করে। তারাই আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সারাদেশে আন্দোলন বড় আকার ধারণ করলে আন্দোলন দমনে তৎকালীন সরকারের অপকৌশলের অংশ হিসেবে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
জানা যায়, ইরান মিয়া বাকৃবি সোহরাওয়ার্দী হলের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি মূলত বাকৃবিতে কোটা আন্দোলনের প্রথমদিকে নেতৃত্বের সুযোগ নিয়ে মূল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। পরবর্তীতে সব দাবি পূরণ হয়ে গেছে দাবি করে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহরের ঘোষণা দেন।
একইভাবে বাকৃবির ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মুন্না। ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও বর্তমানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে ব্যাপক সক্রিয়তা দেখা যায়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন পদ নিয়ে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের সাবেক ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোশে নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতীতে তারা ছাত্রলীগের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে এখন ভোল পাল্টিয়ে সাধারণের লেবাসে তৎপরতা চালাচ্ছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবির সময়ে বাকৃবির অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এর বিরোধিতা করেছিলো। এদের অনেকেই এখন সুশীল সেজে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল দাবিকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু কেউ সুশীল সেজে নৈরাজ্যের চেষ্টা করলে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।