সাদা টাকায় সর্বোচ্চ কর ৩০, কালোতে ১৫ শতাংশ

- আপডেট সময় : ১০:২০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
নতুন বছরের বাজেটে ব্যক্তির বৈধ আয়ে সর্বোচ্চ কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর কালো টাকা সাদা করতে কর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এতে নতুন অর্থবছরে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির আয় বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হলে তাকে কর দিতে হবে না। আর ব্যক্তি আয়ে সর্বোচ্চ কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ।
অন্যদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, নির্ধারিত হারে কর দিয়ে জমি-ফ্ল্যাটও বৈধ করা যাবে।
দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের হিসাবে, জিডিপির তিন ভাগের এক ভাগই কালো। স্বাধীনতার পর থেকে অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে কালো টাকা।
কালো টাকা দুই ধরনের। অনেকেই বৈধপথে আয় করলেও আয়কর নথিতে দেখান না। কেউ কেউ একে অপ্রদর্শিত আয় বলেন। আর কিছু মানুষ আয় করেন অবৈধ উপায়ে। যেমন ঘুষ, দুর্নীতি, লুট ইত্যাদি নানা উপায়ে। অবৈধ আয় আইনের চোখে গুরুতর অপরাধ।
নিজের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখের পরবর্তী এক লাখ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখে ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখে ১৫ শতাংশ, এরপরের ৫ লাখে ২০ শতাংশ, পরের ২০ লাখে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি আয় হলে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।’
এছাড়া নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশিয় বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা হইবে ৪ লাখ টাকা, তৃতীয় লিঙ্গের এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ৫ লাখ টাকা, কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।’
করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৫ হাজার, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ৪ হাজার ও সিটি করপোরেশনের বাহিরের এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা কর ধার্য হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে বিকেল বেলা ৩টার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিনের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।
বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে, বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।