ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

সাদা টাকায় সর্বোচ্চ কর ৩০, কালোতে ১৫ শতাংশ

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
নতুন বছরের বাজেটে ব্যক্তির বৈধ আয়ে সর্বোচ্চ কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর কালো টাকা সাদা করতে কর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এতে নতুন অর্থবছরে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির আয় বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হলে তাকে কর দিতে হবে না। আর ব্যক্তি আয়ে সর্বোচ্চ কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ।

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, নির্ধারিত হারে কর দিয়ে জমি-ফ্ল্যাটও বৈধ করা যাবে।

দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের হিসাবে, জিডিপির তিন ভাগের এক ভাগই কালো। স্বাধীনতার পর থেকে অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে কালো টাকা।

কালো টাকা দুই ধরনের। অনেকেই বৈধপথে আয় করলেও আয়কর নথিতে দেখান না। কেউ কেউ একে অপ্রদর্শিত আয় বলেন। আর কিছু মানুষ আয় করেন অবৈধ উপায়ে। যেমন ঘুষ, দুর্নীতি, লুট ইত্যাদি নানা উপায়ে। অবৈধ আয় আইনের চোখে গুরুতর অপরাধ।

নিজের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখের পরবর্তী এক লাখ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখে ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখে ১৫ শতাংশ, এরপরের ৫ লাখে ২০ শতাংশ, পরের ২০ লাখে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি আয় হলে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।’

এছাড়া নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশিয় বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা হইবে ৪ লাখ টাকা, তৃতীয় লিঙ্গের এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ৫ লাখ টাকা, কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।’

করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৫ হাজার, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ৪ হাজার ও সিটি করপোরেশনের বাহিরের এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা কর ধার্য হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

এর আগে বিকেল বেলা ৩টার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিনের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে, বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাদা টাকায় সর্বোচ্চ কর ৩০, কালোতে ১৫ শতাংশ

আপডেট সময় : ১০:২০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
নতুন বছরের বাজেটে ব্যক্তির বৈধ আয়ে সর্বোচ্চ কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর কালো টাকা সাদা করতে কর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এতে নতুন অর্থবছরে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির আয় বছরে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হলে তাকে কর দিতে হবে না। আর ব্যক্তি আয়ে সর্বোচ্চ কর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ শতাংশ।

অন্যদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, নির্ধারিত হারে কর দিয়ে জমি-ফ্ল্যাটও বৈধ করা যাবে।

দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের হিসাবে, জিডিপির তিন ভাগের এক ভাগই কালো। স্বাধীনতার পর থেকে অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে কালো টাকা।

কালো টাকা দুই ধরনের। অনেকেই বৈধপথে আয় করলেও আয়কর নথিতে দেখান না। কেউ কেউ একে অপ্রদর্শিত আয় বলেন। আর কিছু মানুষ আয় করেন অবৈধ উপায়ে। যেমন ঘুষ, দুর্নীতি, লুট ইত্যাদি নানা উপায়ে। অবৈধ আয় আইনের চোখে গুরুতর অপরাধ।

নিজের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাড়ে তিন লাখের পরবর্তী এক লাখ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখে ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখে ১৫ শতাংশ, এরপরের ৫ লাখে ২০ শতাংশ, পরের ২০ লাখে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি আয় হলে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।’

এছাড়া নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশিয় বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা হইবে ৪ লাখ টাকা, তৃতীয় লিঙ্গের এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ৫ লাখ টাকা, কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।’

করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ঢাকার দুই ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৫ হাজার, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ৪ হাজার ও সিটি করপোরেশনের বাহিরের এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা কর ধার্য হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

এর আগে বিকেল বেলা ৩টার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিনের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে, বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।