জি এম আব্বাস উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা।। দেবহাটায় টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমারব্যানার্জি ও আয়া জান্নাতুল ফেরদাউস (তানিয়া) অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার কুলিয়া আশু মার্কেটে গণমুখী সময় সমিতির উপরে একটি ঘর থেকে স্থানীয় জনগণ আটক করে প্রশাসনকে অবহিত করলে দেবহাটা থানা পুলিশ আটক করেন। এ ঘটনায় পুলিশ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আটককৃত শিক্ষক সঞ্জীব ব্যানার্জিও আয়া তানিয়াকে আদালতে প্রেরন করেছে। এলাকাবাসী ও স্কুলের কর্মরত শিক্ষকগণ বলেন দীর্ঘদিন ধরে ওদের অনৈতিক কাজের জড়িত ছিল কিন্তু কিছু সুবিধাভোগী মানুষদের জন্য তাদের অনেক দিনের অবৈধ সম্পর্ক কার্যকলাপ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উক্ত দুজনকে সাময়িক বহিষ্কার ও স্কুলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জী ও উক্ত স্কুলের আয়া জান্নাতুল ফেরদৌস দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার কারনে উক্ত স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় পূর্বের কমিটির সময় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারা সে বিষয়ে সতর্ক না হয়ে তাদের অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে। এই কারনে ঐ আয়াত তানিয়ার পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হলে তিনি দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া আশু মার্কেটে একটি ঘর ভাড়া করে থাকেন। বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ঐ এলাকার জনগন ঐ ভাড়া বাসা থেকে সঞ্জীব কুমার ও আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহবায়ক আব্দুল মতিন বকুল জানান, অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ও আয়া জান্নাতুল ফেরদৌসকে তানিয়া সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুমকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর ২জন সদস্য হলেন স্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও শিক্ষক হাসান রেজা মুকুল। আব্দুল মতিন বকুল জানান, এই কমিটি রিপোর্ট দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া জানান, রাতে স্থানীয়দের বরাতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ শিক্ষক ও আয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি স্কুলে কিছু অসাধু ব্যক্তিদের সুবিধা ভোগের জন্য স্কুলের লেখাপড়া ও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তারা আরো বলেন অসাধু ব্যক্তিদের কে স্কুল থেকে বাদ দিয়ে স্কুলের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন ও সুনাম ফিরে পাইতে পারে তাহার ব্যবস্থা দানে প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে আশু হচ্ছে ক্ষেপ কামনা করেছেন।