ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

সাতক্ষীরা খানপুরে গলাচেপে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

জিএম আব্বাস উদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যু গৃহবধূর নাম শাহানাজ( ২৬),সে খানপুর গ্রামের আবুল কাসেম গাজীর বড় ছেলে মাসুদ ( ৩২) এর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে ১৯ শো সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে, সরজমিনে গিয়ে যেয়ে দেখা যায় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন ওড়না পেয়েছি গলায় ফাঁস দিলে গলা চেপে ধরার আঙ্গুলের চিহ্ন দেখা যাবে কেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন তার গলা চেপে মেরে ওড়না দিয়ে আড়ায় ঝুলায় রাখা হয়েছে। মৃত্যু গৃহবধূ শাহানাজ কয়রা উপজেলার ঘুকরাকাটি গ্রামের মৃত্যু শাহাদাৎ হোসেন মেয়ে। মৃত্যু গৃহবধূর শ্বাশুড়ি রোকেয়া খাতুনকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন আমার বড় ছেলে মাসুদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি করেন, বর্তমানে মাসুদ বাড়িতে নাই, আমার বউমার শোয়ার ঘরের বারান্দায় আমি থাকি ও মাঝে মাঝে আমার ছোট ছেলে ফিরোজ ( ২৬) শয়ন করে। ঘটনার দিন রাতে আমি ছিলাম ওই দিন আমার ছোট ছেলে ফিরোজ ঘেরের বাসায় ছিল। আমাদের পরিবারের কাহারো সাথে আমার বউমা কোন প্রকার ঝামেলা হয়নি।
চাচা শ্বশুর আবুল কালাম জানান ১৮ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে আমার মেয়ে সোনালী(২০) কে সাথে নিয়ে জুতা সহ কিছু জিনিস মার্কেট করে নিয়ে আসে। রাত ৯ টার দিকে নিজের ঘরে শয়ন করে, সকালে বউমা দেরি করে উঠতে দেখে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা বউমাকে ডাকতে থাকে, ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আমি ঘরের দরজার হাক লাঠি দিয়ে খুলে ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। তৎক্ষনাত ওড়না কেটে তাকে নিচে নামানো হলে দেখা যায় মৃত্যু।
এলাকা বাসী জানান, মাসুদ ও শাহানাজ দুইজন নিজেরা প্রেম করে বিবাহ করে, প্রথমে মাসুদ এর পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিবাহ মেনে নেইনি। তাদের বিবাহের কিছু দিন পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে নেন। তারা আরও জানান মৃত শাহানাজের গলায় যে দাগ দেখা যাচ্ছে ও ঘরের আড়ার উপরের ওড়না বাঁধা তার পক্ষে সম্ভব না বলে ধারণা করা যাচ্ছে, তার মৃত্যুটা আত্মহত্যা না পরিকল্পিতভাবে গলাটিপে হত্যা করে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে করেন ।

স্থানীয়রা আরো বলেন কেউ আত্মহত্যা করলে প্রশাসনের উপস্থিতে লাস নামানো হয় কিন্তু প্রশাসন ছাড়া মৃত কেরামত আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪৮) কিভাবে নামালো। সাতক্ষীরা সদর থানার সংবাদ দিলে এস আই নিশাত ঘটনা স্হলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক জানান, হত্যা কি আত্মহত্যা ময়না তদন্ত ছাড়া জানা যাবে না। ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসীর প্রশাসন ও উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি নিরাপক্ক সুস্থ তদন্ত করে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা জুড়িতে যদি তোদের বিচারে আওতায় এনে সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং নারী নির্যাতনের কারীদের সঠিক শাস্তি প্রদান করার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মৃত ভাই ইমরান হোসেন বলেন আমার বোনকে তারা গলা টিপে হত্যা করে ওড়না দিয়ে আড়াই জুলাই রেখেছে। তার গলায় হাতের আঙ্গুলের দাগ দেখা যাচ্ছে এবং শরীরে অন্যান্য জায়গায় দাগ আছে সুস্থ তদন্ত করে হত্যাকারীদের প্রশাসন ও উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি করেন, তিনি বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাতক্ষীরা খানপুরে গলাচেপে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে

আপডেট সময় : ১১:২১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জিএম আব্বাস উদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যু গৃহবধূর নাম শাহানাজ( ২৬),সে খানপুর গ্রামের আবুল কাসেম গাজীর বড় ছেলে মাসুদ ( ৩২) এর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে ১৯ শো সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে, সরজমিনে গিয়ে যেয়ে দেখা যায় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন ওড়না পেয়েছি গলায় ফাঁস দিলে গলা চেপে ধরার আঙ্গুলের চিহ্ন দেখা যাবে কেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন তার গলা চেপে মেরে ওড়না দিয়ে আড়ায় ঝুলায় রাখা হয়েছে। মৃত্যু গৃহবধূ শাহানাজ কয়রা উপজেলার ঘুকরাকাটি গ্রামের মৃত্যু শাহাদাৎ হোসেন মেয়ে। মৃত্যু গৃহবধূর শ্বাশুড়ি রোকেয়া খাতুনকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন আমার বড় ছেলে মাসুদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি করেন, বর্তমানে মাসুদ বাড়িতে নাই, আমার বউমার শোয়ার ঘরের বারান্দায় আমি থাকি ও মাঝে মাঝে আমার ছোট ছেলে ফিরোজ ( ২৬) শয়ন করে। ঘটনার দিন রাতে আমি ছিলাম ওই দিন আমার ছোট ছেলে ফিরোজ ঘেরের বাসায় ছিল। আমাদের পরিবারের কাহারো সাথে আমার বউমা কোন প্রকার ঝামেলা হয়নি।
চাচা শ্বশুর আবুল কালাম জানান ১৮ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে আমার মেয়ে সোনালী(২০) কে সাথে নিয়ে জুতা সহ কিছু জিনিস মার্কেট করে নিয়ে আসে। রাত ৯ টার দিকে নিজের ঘরে শয়ন করে, সকালে বউমা দেরি করে উঠতে দেখে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা বউমাকে ডাকতে থাকে, ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আমি ঘরের দরজার হাক লাঠি দিয়ে খুলে ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। তৎক্ষনাত ওড়না কেটে তাকে নিচে নামানো হলে দেখা যায় মৃত্যু।
এলাকা বাসী জানান, মাসুদ ও শাহানাজ দুইজন নিজেরা প্রেম করে বিবাহ করে, প্রথমে মাসুদ এর পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিবাহ মেনে নেইনি। তাদের বিবাহের কিছু দিন পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে নেন। তারা আরও জানান মৃত শাহানাজের গলায় যে দাগ দেখা যাচ্ছে ও ঘরের আড়ার উপরের ওড়না বাঁধা তার পক্ষে সম্ভব না বলে ধারণা করা যাচ্ছে, তার মৃত্যুটা আত্মহত্যা না পরিকল্পিতভাবে গলাটিপে হত্যা করে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে করেন ।

স্থানীয়রা আরো বলেন কেউ আত্মহত্যা করলে প্রশাসনের উপস্থিতে লাস নামানো হয় কিন্তু প্রশাসন ছাড়া মৃত কেরামত আলীর ছেলে আবুল কালাম (৪৮) কিভাবে নামালো। সাতক্ষীরা সদর থানার সংবাদ দিলে এস আই নিশাত ঘটনা স্হলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক জানান, হত্যা কি আত্মহত্যা ময়না তদন্ত ছাড়া জানা যাবে না। ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকাবাসীর প্রশাসন ও উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি নিরাপক্ক সুস্থ তদন্ত করে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা জুড়িতে যদি তোদের বিচারে আওতায় এনে সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং নারী নির্যাতনের কারীদের সঠিক শাস্তি প্রদান করার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মৃত ভাই ইমরান হোসেন বলেন আমার বোনকে তারা গলা টিপে হত্যা করে ওড়না দিয়ে আড়াই জুলাই রেখেছে। তার গলায় হাতের আঙ্গুলের দাগ দেখা যাচ্ছে এবং শরীরে অন্যান্য জায়গায় দাগ আছে সুস্থ তদন্ত করে হত্যাকারীদের প্রশাসন ও উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি করেন, তিনি বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।