ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন, সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) কার্যক্রমের ক্ষতিপূরণের বকেয়া অর্থ দ্রুত প্রদানের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা স্মারকলিপি দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয় বছর পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম চালু ছিল। এ সময়ে ১ হাজার ৫৬২ একর জমিতে জোয়ার-ভাটা চলার কারণে কৃষিজমিতে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ সময়ের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও জমির মালিকেরা মাত্র দুই বছরের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকি চার বছরের বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়ে গেছে।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, টিআরএম বাস্তবায়নের ফলে কপোতাক্ষ অববাহিকার অন্তত ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। নদী তার নাব্যতা ফিরে পেয়েছে, জীববৈচিত্র্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর কৃষি উৎপাদন বন্ধ থাকায় পাখিমারা বিলের মানুষ সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। কর্মসংস্থানের অভাব, ঋণগ্রস্ততা, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়া এবং চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা বলেন, বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও বকেয়া ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে টিআরএম বন্ধ হয়ে গেছে। কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হয়ে নতুন করে জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পড়ছে বিশাল এলাকা। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের অনিশ্চয়তার কারণে স্থানীয়রা নতুন করে টিআরএম বাস্তবায়নেও অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন।

এ অবস্থায় দ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সময়মতো ক্ষতিপূরণ না দিলে কপোতাক্ষ অববাহিকায় জলাবদ্ধতার তীব্রতা আরও বাড়বে এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চল আবারও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

স্মারকলিপিতে বিল অধিবাসীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পাখিমারা বিল কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আলীম, সহসভাপতি গোলদার আশরাফুল হক, সদস্য শেখ রজব আলী, মো. রাশেদ সানা, মো. ছফেদ আলী সরদার, মো. রেজাউল করিম গাজী, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মো. মফিজুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাতক্ষীরায় পাখিমারা টিআরএমের বকেয়া ৪৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবিতে স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন, সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) কার্যক্রমের ক্ষতিপূরণের বকেয়া অর্থ দ্রুত প্রদানের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা স্মারকলিপি দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কপোতাক্ষ অববাহিকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছয় বছর পাখিমারা বিলে টিআরএম কার্যক্রম চালু ছিল। এ সময়ে ১ হাজার ৫৬২ একর জমিতে জোয়ার-ভাটা চলার কারণে কৃষিজমিতে কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ সময়ের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও জমির মালিকেরা মাত্র দুই বছরের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকি চার বছরের বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রায় ৪৮ কোটি টাকা এখনও বকেয়া রয়ে গেছে।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, টিআরএম বাস্তবায়নের ফলে কপোতাক্ষ অববাহিকার অন্তত ১৫ লাখ মানুষ সরাসরি এবং প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে। নদী তার নাব্যতা ফিরে পেয়েছে, জীববৈচিত্র্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছর কৃষি উৎপাদন বন্ধ থাকায় পাখিমারা বিলের মানুষ সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। কর্মসংস্থানের অভাব, ঋণগ্রস্ততা, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়া এবং চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকেরা বলেন, বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও বকেয়া ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে টিআরএম বন্ধ হয়ে গেছে। কপোতাক্ষ নদ আবারও পলিতে ভরাট হয়ে নতুন করে জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পড়ছে বিশাল এলাকা। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের অনিশ্চয়তার কারণে স্থানীয়রা নতুন করে টিআরএম বাস্তবায়নেও অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন।

এ অবস্থায় দ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সময়মতো ক্ষতিপূরণ না দিলে কপোতাক্ষ অববাহিকায় জলাবদ্ধতার তীব্রতা আরও বাড়বে এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চল আবারও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

স্মারকলিপিতে বিল অধিবাসীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পাখিমারা বিল কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আলীম, সহসভাপতি গোলদার আশরাফুল হক, সদস্য শেখ রজব আলী, মো. রাশেদ সানা, মো. ছফেদ আলী সরদার, মো. রেজাউল করিম গাজী, তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মো. মফিজুর রহমান।