সাংবাদিকের বিকৃত নগ্ন ভিডি ধারন! টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে মধুচক্র গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের

- আপডেট সময় : ০৭:০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

মোঃ মহাসিন, খুলনা বিভাগীয়, প্রতিনিধি:-যৌন ব্যবসার অন্তরালে সমাজের ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা ,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সমাজের নানান শ্রেণী পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফোনালাপের মাধ্যমে সাতক্ষীরায় ভাড়া বাসায় কাদের-রিমার মধু কুঞ্জের ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে কল গার্লের সঙ্গে বিকৃত নগ্ন করে বেধড়ক পিটিয়ে ভিডিও ধারণ। ঐ ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতা ও রিপনুজ্জামান রিপন নামে ১ সাংবাদিকের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এবং নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে থানায় মামলা দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৫ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরার সদর থানার কাটিয়া লস্কার পাড়ার আশরাফের ভাড়া বাড়িতে ইউ,পি সদস্য কাদের ও তার কথিত স্ত্রী রিমার মধু কুঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় ভুক্ত ভোগী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গনপতি গ্রামের ফজর আলীর পুত্র এবং মথুরেশপুর ইউনিয়ন জিয়া পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার মথুরেশপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধি রিপনুজ্জামান রিপন (৩২) সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ৫ এপ্রিল রাতে ৪ জন নামীয় এবং ২/৩ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি, চাঁদাবাজী,দুষ্যতা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১টি মামলা দায়ের করেছে । মামলার আসামিরা হলো কালিগঞ্জ থানার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের কন্যা ১ সন্তানের জনক স্বামী পরিত্যক্তা শারমিন আক্তার রিমা এবং তার কথিত স্বামী পরিচয়দানকারী একই গ্রামের এলাহি বক্স গাজীর বিবাহিত পুত্র ১ সন্তানের জনক ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু থানায় পুলিশ কর্মকর্তাদের রহস্যজনক কারণে তারা কাদের -রিমা চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমঝোতার নাম করে তাকে থানা থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি জানতে পেরে গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগীকে ডেকে সমঝোতার কাগজ উদ্ধার পূর্বক সদর থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। ওই সময় সমঝোতার কাগজে মূল হত্যা কাদেরকে কাইয়ুম নাম ব্যবহার করতে দেখা যায় ।কাদের রিমা এই চক্রের মধু কুঞ্জের ফাঁদে পড়ে অনেক সম্মানিত ব্যক্তি এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের নগ্ন মেলামেশার ভিডিও তাদের হাতে থাকায় তারা প্রতিনিয়ত এটাকে পুঁজি করে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে বছরের পর বছর ব্যবহার করে এই কারবার চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ শামিমুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে তালাবদ্ধ বাড়িছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।