সাংবাদিকতায় বাঁধা ফ্যাসিস্ট শয়তান ট্যাগে মারাত্মক জখম: যমুনা টিভির সাংবাদিক

- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:সাংবাদিকতায় প্রশাসনের বাঁধা। যমুনা টিভির সাংবাদিক জোবায়েদকে পেশাগত কাজে বাঁধা ফ্যাসিস্ট শয়তান ট্যাগ লাগিয়ে মারাত্মক জখম করে। পুলিশ সাংবাদিক পিটিয়েছে এ যেন আর নতুন কিছু নয়। গণমাধ্যম কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় হেনস্তা-নাজেহাল মারধরের শিকার। ভুক্তভোগী ও জনমনে প্রশ্ন সাধারণ মানুষ আর নিরাপদ নয়।
যমুনা টিভির সাংবাদিক জোবায়েদ ও চিত্র সাংবাদিক লিমন কে ব্যাপক মারধর করেন ডিসি আমিরুল ইসলাম। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান চট্টগ্রামের সকল সাংবাদিকসহ সারাদেশের সাংবাদিকবৃন্দ।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় কনসার্ট ঘিরে সংঘর্ষ-ভাঙচুরের সংবাদ সংগ্রহে খুলশি থানায় যান জোবায়েদ। এসময় এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তিনি।
পুলিশ হেফাজতে থাকা আটক পরিবারের সাথে কথা বলতে গিয়ে রক্তাক্ত যখম চরম এনেস্তা নাজেহাল হয়েছেন যমুনা টিভির সাংবাদিক ও তার সহকর্মী।
সাংবাদিক জানা সত্বেও থানা কক্ষে ঢুকিয়েই বেদকরক মারপিট সহ সাংবাদিক পিটানোকে শয়তানের পেটানোর সাথে তুলনা করা হয়।
বিষয়টি জানতে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে দেখি কি হয়েছে। না জেনে কোন কথা বলবো না। ফোর্স এপ্লাই করা হয়েছে। এক হাতে তালি বাজে না। অন্যায় যেই করুক তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সাংবাদিকরা ক্যামেরা দেখলেই বিরূপ আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন। পুলিশ প্রফেশনালি হ্যান্ডেল, কাজ করার পরেও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যর্থ সংবাদ প্রচার উস্কানিমূল কথাবার্তা তথ্য প্রচার করো কাম্য নয়।
পেশাগত কাজে জীবনঝুঁকি সত্য প্রকাশে আপোষহীন সাংবাদিক। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি ও হামলার শিকার হচ্ছে সংবাদ কর্মীরা। পুলিশ সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি মোটেই মেনে নেওয়ার মতো না। কোনভাবেই কাম্য নয়। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক সহকর্মীবৃন্দ । দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রয়োজনের রাজপথে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন মহল।