নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচলে বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে পড়েছে। এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরো চরম আকারণ ধারণ করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতী ভাঙ্গা ইউনিয়নের চখার চর-কাঠার বিল সড়কের খালের ওপর জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে দুর্ভোগ লাঘব হতো।
পাউবো সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাউবোর পানি পরিমাপক আব্দুর মান্নান। একই সঙ্গে সবাইকে বন্যার আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
জানা যায়, এলাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য ২০২২ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা প্রায় ১০০ মিটার একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাঁকোটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আর তাই এ বছর সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার সাতভিটা, শাহাজাদপুর, চখার চর, ধুলাউড়ি ও ঘারিপাড়াসহ পাঁচ গ্রামের ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ।
স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও ওই খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়া, বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়া এবং পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ায় যুগ যুগ ধরে উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে।
আব্দুল মজিদ বলেন, আগে খালের ওপার থেকে জরুরি কাজ শেষ করার জন্য কাঠারবিল বাজারসহ উপজেলা সদরে যাতায়াত করতো এলাকার জনসাধারণ। কিন্তু বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাবার ফলে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে।
এক বাসিন্দা বলেন, দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের জন্য বিভিন্ন দফতরে আবেদন করে আসছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে না। ওই স্থানে ব্রিজ নির্মিত হলে জনসাধারণের উপকার হতো।
শফিজল বলেন, সাতভিটা, শাহাজাদপুর, চখার চর, ধুলাউড়ি ও ঘারিপাড়াসহ পাঁচ গ্রামের ২০ হাজারেরও অধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ বাঁশের সাঁকোটি। সেটিও ভেঙে গেলো। ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো মানুষ । বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, গাড়ী চালক, সাধরণত পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, এটি যেহেতু একটি বাঁশের সাঁকো। সেহেতু উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সাঁকোটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.