মো: শিহাব মাহমুদ,জামালপুর জেলা প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলদহ গ্রামে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেল ও নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী ভেবলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে ভেবলা গ্রামের খাদেম আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ফুলদহ গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে সালমান ফারসির কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ধার নেন। টাকা ফেরত চাওয়ার সময় আনোয়ার নানা তালবাহানা করে এবং বিভিন্ন তারিখ দিয়ে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এরই ধারাবাহিকতায় ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে সালমান ফারসিকে আনোয়ারের বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়।
সালমান ফারসিকে সেখানে গিয়ে উল্টো টাকা দাবি করা হয়। তাকে ঘরে আটকে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সালমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে সালমানের পিতা, হাফেজ ক্বারী শরিফ উদ্দিন আনোয়ারের বাড়িতে ছুটে আসলে তাকেও আটকে রেখে মানহানিকর ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং তার কাছ থেকে ইসলামিক বই বিক্রি করে পাওয়া ১৭ হাজার টাকা এবং কিছু বই জোরপূর্বক নিয়ে নেওয়া হয়।
এসময় তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী খলিল মিয়া বলেন, " আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আনোয়ারের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখতে পাই , আনোয়ার ও শরিফ উদ্দিন এবং তার ছেলে একে অপরের প্রতি টাকা দাবি করছে আর সালমানের মোটরসাইকেল আটকে রেখেছে। আমি উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি এবং মোটরসাইকেলটি নিজের জিম্মায় রেখে শরিফ উদ্দিন ও তার ছেলেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় "।
ঐদিকে, '' আমার চাচাতো ভাইয়ের জানাজা ও দাফন কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখতে পাই মোটরসাইকেল নাই খবর নিয়ে জানতে পারি আনোয়ার ও তার ছেলে, জোদ্ধার মেকার, ও গফুর মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে"।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সালমান ফারসি বলেন, "মোটরসাইকেলটি আমার রোজগারের অন্যতম অংশ। এই গাড়ি দিয়েই আমি ইসলামিক বই ডেলিভারি করি, তাতে আমার সংসারের চাকা ঘুরে।"
এ বিষয়ে ক্বারী শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে, যাতে এই নিন্দনীয় ঘটনার সঠিক সমাধান হয়।
এ ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এমন ধরনের ঘটনায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.