স্টাফ রিপোর্টার:-
টাঙ্গাইলের সখীপুরে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১ দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। ২৪ মে(শুক্রবার) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইন্দারজানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে সখীপুর ও ঘাটাইল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়,
শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইন্দারজানি বাজারের ইউসুফ মিয়ার পেট্রলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দোকান ঘরগুলো টিনের তৈরি হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সখীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ঘাটাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিটও এসে যোগ দেয়। তারা দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ধারণা করা হচ্ছে আগুনে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী,আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুজ্জামান ফরিদ বলেন,আমি শুরু থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এখানে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি,পুড়ে যাওয়া দোকানিদের অনেক বড় ক্ষতি হল, আগুনে অন্তত ১১ দোকান পুড়ে গেছে।এসব দোকানের মধ্যে পাইকারি কাপড়ের পণ্য,পেট্রল,ডিজেল, মনিহারির দোকানসহ টিনের দোকান রয়েছে।
ইন্দারজানী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব সরকার বলেন,এই ভয়াবহ অগ্নি কান্ডে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হল আমার বাজারের এই ব্যবসায়ীরা।
মোন্তাজনগর আবাসিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটা মূলত পেট্রল ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়ার দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহাজাহান জয় ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে গেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রণোদনার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য, ডিএম রফিক মেম্বার জানান,ভয়াবহ অগ্নি কান্ডে ১১ দোকানির প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন বলেন,একই দোকানে পেট্রল,ডিজেল,গ্যাস ও মনোহারি দোকান,
অনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হওয়ার কারণেই এ ভয়াবহ অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটেছে,যার জন্য আজকে এই ভয়াবহ অগ্নি কান্ডে নিঃস্ব হয়ে গেল ১১ ব্যবসায়ী।
তদন্ত সাপেক্ষে আমিসহ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একটি প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা রতন কুমার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না'তবে প্রাথমিক অবস্থায় দোকানদার ইউসুফ মিয়া ক্ষতির পরিমাণ জানান ৭০ লক্ষ টাকা,দোকানদার আফসার আলী জানান৬০ লক্ষ টাকা,দোকানদার আলমগীর হোসেন জানান ৩০ লক্ষ টাকা,আঃ মান্নান জানান,৩০ লক্ষ টাকা,সাইদুল ইসলাম জানান ১২ লক্ষ টাকা,শাহজাহান জানান ৩০ লক্ষ টাকা ও টিনের দোকানদার রফিকুল ইসলাম জানান ১ কোটি টাকার মতো তাদের ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে,আমরা ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছি।
ইতিমধ্যে আমি বারবার ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে সতর্ক করেছি এবং নিবন্ধন নিয়ে নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনার তাগিদ দিয়েছি,তারা কর্ণপাত করেনি।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পরে খবর পেয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে আসেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.