ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির ঠাকুরগাঁওয়ের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা সাতক্ষীরার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা আগৈলঝাড়া মসজিদের ইমামের উপর প্রতিপক্ষের হামলা রাণীশংকৈলে অসময়ে বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি.. হতাশাগ্রস্ত কৃষক সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ কার্তিকের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে অসহায়, সহযোগিতা কামনা ফেনী পৌরসভার মধ্যম বিরিঞ্চির আব্দুস সোবহান মুন্সীর ইন্তেকাল দুমকিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ ‎উপজেলা পর্যায়ে গ্ৰাম আদালত কার্যক্রমের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ‎ কোয়েপাড়ায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত

সখীপুরে চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দেওয়া ৯ মেম্বারসহ ১৭ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব সংবাদদাতা :

টাঙ্গাইল সখীপুরে অনাস্থা দেওয়া সেই নয় মেম্বারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা করেছে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন।
সোমবার (২০ মে) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সখীপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারি কাজের বরাদ্দকৃত টাকা, গম ও চাউল আত্মসাৎ করার প্রস্তাব করায় চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা পরস্পরের যোগসাজশে চেয়ারম্যানের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তারই প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্যদের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যান জামাল মিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাটের অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় গত ১৫ মে বুধবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে বিদেশ পাঠানোর নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল হোসেনকে দীর্ঘ সময় রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে ভুক্তভোগীরা।

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র

এ সময় তারা ইউনিয়ন পরিষদও ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে চেয়ারম্যান জামাল মিয়াকে উদ্ধার করে। পরে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন চাঁন ২২ মে বুধবার ভুক্তভোগীদের টাকা এবং পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পাওনাদারদের টাকা ফেরত দেয়ার দুইদিন আগে এ মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের পক্ষে মামুন শিকদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে সত্যকে গোপন রাখতে পারবে না। বরং সেই আমাদের নয় জন ইউপি সদস্যসহ এ ইউনিয়নের ৭০ জনের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর নামে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার প্রেক্ষিতে আমরা তাকে অনাস্থা দিয়েছি।
উল্লেখ, গত (২ মে) বৃহস্পতিবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ইউপি সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ মোট ১০ টি অভিযোগ উল্লেখ করে ওই ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সখীপুরে চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দেওয়া ৯ মেম্বারসহ ১৭ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা

আপডেট সময় : ১১:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

নিজেস্ব সংবাদদাতা :

টাঙ্গাইল সখীপুরে অনাস্থা দেওয়া সেই নয় মেম্বারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা করেছে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন।
সোমবার (২০ মে) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সখীপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারি কাজের বরাদ্দকৃত টাকা, গম ও চাউল আত্মসাৎ করার প্রস্তাব করায় চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা পরস্পরের যোগসাজশে চেয়ারম্যানের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তারই প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্যদের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যান জামাল মিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাটের অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় গত ১৫ মে বুধবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে বিদেশ পাঠানোর নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল হোসেনকে দীর্ঘ সময় রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে ভুক্তভোগীরা।

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র

এ সময় তারা ইউনিয়ন পরিষদও ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ এসে চেয়ারম্যান জামাল মিয়াকে উদ্ধার করে। পরে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন চাঁন ২২ মে বুধবার ভুক্তভোগীদের টাকা এবং পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পাওনাদারদের টাকা ফেরত দেয়ার দুইদিন আগে এ মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের পক্ষে মামুন শিকদার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে সত্যকে গোপন রাখতে পারবে না। বরং সেই আমাদের নয় জন ইউপি সদস্যসহ এ ইউনিয়নের ৭০ জনের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর নামে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার প্রেক্ষিতে আমরা তাকে অনাস্থা দিয়েছি।
উল্লেখ, গত (২ মে) বৃহস্পতিবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ইউপি সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ মোট ১০ টি অভিযোগ উল্লেখ করে ওই ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দেয়।