ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ জিয়া আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে সংসার চালাতে নিরাপত্তাকর্মীর চাকুরি করছেন জাতীয়দলের নাসুমের বাবা সারা বাংলা মামার বরিশালটা আমার,নতুন বাংলাদেশে সেই গডফাদারদের কোনো স্থান নেই:গাজী কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবে ঈদুল মিলাদুন্নবী পালিত হয় বিশ্বের সেরা জুলুসে জনস্রোতে চট্টগ্রাম পৌনে ১কোটি জনতার রেকর্ড শ্যামনগরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে কৃষকদলের সভাপতি বহিষ্কৃত কৃষক দলের নেতার বিরুদ্ধে থানায়  জিডি  সোনাগাজীতে প্রবাসী পরিবারের উপর হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঝিনাইদহে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ১১ তম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

সংসার চালাতে নিরাপত্তাকর্মীর চাকুরি করছেন জাতীয়দলের নাসুমের বাবা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে

তৌফিকুর রহমান তাহের,সুনামগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি:নাসুম ছিল একসময় সুনামগঞ্জবাসির গর্ব। নাসুম আহমেদের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটি পাড়া ইউনিয়নের মর্দাপুর গ্রামে অবস্থিত। তিনি ১৯৯৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহন করলেও তার পৈত্রিক নিবাস এই গ্রামেই তার পিতামহ ১৯৫৮ সালে সিলেট আসার আগে এই গ্রামেই তাদের পৈত্রিক বাড়ি ছিল।আজ ছেলে দেশের তারকা ক্রিকেটার। আর সংসার চালাতে মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনের নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করেন নাসুমের পিতা আক্কাছ এইখবর আজ ফেইসবুকসহ বাংলাদেশের খবরের প্রধান শিরোনাম।

অথচ ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে কতকিছুই না করেছে নাসুমের পিতা। রিকশা চালানো থেকে শুরু করে সবজি বিক্রি ও রংমিস্ত্রির,রাজমিশ্রির কাজও করেছেন সেই বাবা। কিন্তু ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় হয়ে বিয়ে করার পর বদলে গেছে নাসুম। সম্পর্ক অনেকটা বিচ্ছিন্ন করেই দিয়েছে।

সেই বাবার নাম আক্কাস আলী। ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় জীবিকার তাগিদেই তিনি সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেটে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শান্তিতে নেই নাসুমের পিতা কিন্তু ছেলের বিষয়ে বিরূপ কিছু বলতে রাজিনা।পিতা আক্কাস মাসশেষে বেতন পান মাত্র ৮ হাজার টাকা।

নিজের ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের ফলে ছেলে এখন দেশের নামকরা ক্রিকেট তারকা। স্ত্রীসহ থাকছেন ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়িতে। অবশ্য এতে আক্কাস আলীর কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি বলেন,আমি একজন বাবা হিসেবে শুধু চাই নাসুম বড় কিছু হোক। নিজের জন্য আলাদা কিছু চাইনি, চাই না।’

স্থানীয়দের ভাষ্য, একসময় নাসুমের পরিবারের সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকলেও বিয়ের পর থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। যে বাবা রিকশা চালানো, সবজি বিক্রি আর রঙের কাজ করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে জাতীয় দলে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি আজ ছেলে থেকে আলাদা।

নাসুমের চাচা লুবন মিয়া বলেন, ‘আমাদের ভাতিজা খুব আদরের ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ওর এমন পরিবর্তন কেন হলো, সেটা বুঝতে পারছি না।’

জালাবাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নাসুমের বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাকে বড় করেছেন। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর মা মারা গেলে সে বাবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে কেন এমন হলো, সেটা কেউই বলতে পারছে না।’
নাসুম অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় দলের এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। উনি আমাদের সঙ্গে থাকেন না। তাই আলাদাভাবে থাকেন। মাসে মাসে আমি টাকার একটা অ্যামাউন্ট দেই। তবে উনি কী করবেন, সেটা ওনার সিদ্ধান্ত।’

উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরুতেই নাসুম জন্মস্থান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একসময় তাকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের সন্তান হিসেবে প্রচারণা চালানো হলেও তিনি নিজেকে সিলেট জেলার ক্রিকেটার দাবি করেন এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সংসার চালাতে নিরাপত্তাকর্মীর চাকুরি করছেন জাতীয়দলের নাসুমের বাবা

আপডেট সময় : ১১:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তৌফিকুর রহমান তাহের,সুনামগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি:নাসুম ছিল একসময় সুনামগঞ্জবাসির গর্ব। নাসুম আহমেদের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটি পাড়া ইউনিয়নের মর্দাপুর গ্রামে অবস্থিত। তিনি ১৯৯৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহন করলেও তার পৈত্রিক নিবাস এই গ্রামেই তার পিতামহ ১৯৫৮ সালে সিলেট আসার আগে এই গ্রামেই তাদের পৈত্রিক বাড়ি ছিল।আজ ছেলে দেশের তারকা ক্রিকেটার। আর সংসার চালাতে মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনের নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করেন নাসুমের পিতা আক্কাছ এইখবর আজ ফেইসবুকসহ বাংলাদেশের খবরের প্রধান শিরোনাম।

অথচ ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে কতকিছুই না করেছে নাসুমের পিতা। রিকশা চালানো থেকে শুরু করে সবজি বিক্রি ও রংমিস্ত্রির,রাজমিশ্রির কাজও করেছেন সেই বাবা। কিন্তু ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় হয়ে বিয়ে করার পর বদলে গেছে নাসুম। সম্পর্ক অনেকটা বিচ্ছিন্ন করেই দিয়েছে।

সেই বাবার নাম আক্কাস আলী। ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় জীবিকার তাগিদেই তিনি সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেটে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শান্তিতে নেই নাসুমের পিতা কিন্তু ছেলের বিষয়ে বিরূপ কিছু বলতে রাজিনা।পিতা আক্কাস মাসশেষে বেতন পান মাত্র ৮ হাজার টাকা।

নিজের ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের ফলে ছেলে এখন দেশের নামকরা ক্রিকেট তারকা। স্ত্রীসহ থাকছেন ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়িতে। অবশ্য এতে আক্কাস আলীর কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি বলেন,আমি একজন বাবা হিসেবে শুধু চাই নাসুম বড় কিছু হোক। নিজের জন্য আলাদা কিছু চাইনি, চাই না।’

স্থানীয়দের ভাষ্য, একসময় নাসুমের পরিবারের সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকলেও বিয়ের পর থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। যে বাবা রিকশা চালানো, সবজি বিক্রি আর রঙের কাজ করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে জাতীয় দলে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি আজ ছেলে থেকে আলাদা।

নাসুমের চাচা লুবন মিয়া বলেন, ‘আমাদের ভাতিজা খুব আদরের ছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ওর এমন পরিবর্তন কেন হলো, সেটা বুঝতে পারছি না।’

জালাবাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নাসুমের বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাকে বড় করেছেন। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর মা মারা গেলে সে বাবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে কেন এমন হলো, সেটা কেউই বলতে পারছে না।’
নাসুম অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় দলের এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। উনি আমাদের সঙ্গে থাকেন না। তাই আলাদাভাবে থাকেন। মাসে মাসে আমি টাকার একটা অ্যামাউন্ট দেই। তবে উনি কী করবেন, সেটা ওনার সিদ্ধান্ত।’

উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের শুরুতেই নাসুম জন্মস্থান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একসময় তাকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের সন্তান হিসেবে প্রচারণা চালানো হলেও তিনি নিজেকে সিলেট জেলার ক্রিকেটার দাবি করেন এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।