ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শ্রেনীসংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ৩২০ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতকরণে বিদ্যালয়গুলোর তথ্য চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের চিঠি দিয়ে এ তথ্য চাওয়া হয়। চিঠিতে কতগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা যাবে, তা নির্ধারিত ছকে পাঠাতে বলা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ অনুসারে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে মৌলিক শিক্ষা অবৈতনিককরণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে চালু করা বিদ্যালয় ছাড়া বিভাগগুলোর আওতাধীন জেলাগুলোয় আরও কী পরিমাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যাবে।

মৌলিক শিক্ষার ধাপ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত, দুই মন্ত্রণালয় সম্মতঃ

ফলো করুন
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রস্তাব রয়েছে
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রস্তাব রয়েছেফাইল ছবি
মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক) থেকে বাড়িয়ে অষ্টম শ্রেণি (নিম্ন মাধ্যমিক স্তর) পর্যন্ত উত্তরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে। আজ রোববার এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে নিম্নমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করতে শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক। ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রস্তাব থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল হালিম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শ্রেনীসংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার

আপডেট সময় : ১২:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতকরণে বিদ্যালয়গুলোর তথ্য চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের চিঠি দিয়ে এ তথ্য চাওয়া হয়। চিঠিতে কতগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা যাবে, তা নির্ধারিত ছকে পাঠাতে বলা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ অনুসারে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে মৌলিক শিক্ষা অবৈতনিককরণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে চালু করা বিদ্যালয় ছাড়া বিভাগগুলোর আওতাধীন জেলাগুলোয় আরও কী পরিমাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যাবে।

মৌলিক শিক্ষার ধাপ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত, দুই মন্ত্রণালয় সম্মতঃ

ফলো করুন
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রস্তাব রয়েছে
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রস্তাব রয়েছেফাইল ছবি
মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক) থেকে বাড়িয়ে অষ্টম শ্রেণি (নিম্ন মাধ্যমিক স্তর) পর্যন্ত উত্তরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে। আজ রোববার এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে নিম্নমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করতে শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক। ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার প্রস্তাব থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল হালিম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রমুখ।