স্টাফ রিপোর্টার:-গত ১৮ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পশ্চিম জেলা শাখা যশোরের প্রধান কার্যালয় বাগআচড়াতে মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম বলেন আমি শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরীর কাছে মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় আমার উপার্জিত অর্থ বাঁকড়া বাজারে অবস্থিত ফ্যাক্স ব্যবসায়ী খোকন ও কালামের মাধ্যমে দিতেন।দেশে এসে টাকা ফেরত চাহিলে এক লক্ষ টাকা আমাকে ফেরত দেন এবং বাকি সাড়ে সাত লক্ষ টাকা তার কাছে থেকে যায়। তিনি বলেন শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী আমার ওস্তাদ ছিলেন আমি ছোটবেলা থেকে তার প্রতিষ্ঠানে থেকে টেইলারের কাজ শিখেছি তিনি আমাকে সন্তানের মত দেখতেন এবং আমি তাকে আমার পিতার স্থানে জায়গা দিয়েছিলাম সেই বিশ্বাসে তার কাছে টাকা পাঠাইতাম গত সাত বছর যাবত আমার টাকা তার হস্তগত হয়ে আছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী এমপি ও নেতাদের ছাত্রছায় থেকে এবং সে হিন্দু ধর্মের হওয়ায় হিন্দু পরিষদের দাপট দেখিয়ে প্রতিটি শালিসে তার কাছে আমার টাকা পাও না হলেও সে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করিতে থাকে এবং বলে সব টাকা অন্যকে দিয়ে খাওয়াবো কিন্তু শফিকুলকে দিব না। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা পশ্চিম জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য বাঁকড়া ইউনিয়নের স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের কয়েকজনের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে এবং দুই পক্ষকে নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি শোনা-বোঝা করার জন্য একত্রে বসার আহ্বান করিলে শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী বসতে রাজি নাহলে অত্র সংস্থার আইন অনুযায়ী অভিযোগ পত্রটি সি,আই,টি-র মহাপরিচালক জনাব মঈনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে পাঠালে তিনার হস্তক্ষেপে উক্ত অভিযোগ পত্রটি সচিবালয়, ডিআইজি,পুলিশ সুপার এবং ঝিকুরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ হয়ে বাঁকড়া আইসিতে এসে পৌঁছালে ১৮/০৫/২০২৫ই: তারিখে দুই পক্ষকে নিয়ে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রে অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে বসে তাদের বক্তব্য শোনা-বোঝা করা হয়। শুরুতে বাঁকড়া আইসি ইনচার্জ মামুনুর রশিদ বলেন এই সালিশটি পূর্বে আটবার বসা হয়েছে আজ নবমতম সালিশ।বাদির বক্তব্য শেষে বিবাদী শুরুতেই বলে শফিকুল মালয়েশিয়ায় থেকে আমার কাছে কোন টাকা পাঠায় নাই কোন লেনদেন হয় নাই আমার সাথে অথচ সালিশের মাঝে এবং শেষে সাক্ষ্য মেলে যে শফিকুল আনন্দ দর্জির কাছে টাকা পাঠিয়েছে একপর্যায়ে শ্রী আনন্দ কুমার চৌধুরী 2 লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয় কিন্তু শফিকুল বলেন আমার পাওনা টাকা পুরোটাই দিতে হবে-সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে আনন্দ দর্জি ও তার লোকজন তদন্ত কেন্দ্র ত্যাগ করেন। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম মানবাধিকার,গণমাধ্যম ও এলাকাবাসীর সহ প্রশাসনের কাছে আকুতি করে বলেন-আমি আমার টাকা ফেরত পাইতে আপনাদের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন বলে আমি অনুভব করছি আমি খুবই অসহায় আপনাদের সাহায্য ছাড়া আমি আরো বেশি অসহায় হয়ে যাব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.