শ্যামনগর উপকূলীয় কৃষক নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপকূলীয় কৃষক নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মধ্য কৈখালী গ্রামে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও মধ্য কৈখালী আইপিএম কৃষি ক্লাবের উদ্যোগে ১৬২টি স্থানীয় আমন ধানের জাত নিয়ে দিনব্যাপী এ আয়োজন হয়।মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী, কৃষক গবেষক দল, গ্রীন কোয়ালিশন প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য, যুব, শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা ও বারসিকের স্টাফরা অংশ নেন। শ্যামনগর গ্রীন কোয়ালিশনের সভাপতি কৃষ্ণান্দ মুখার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম। বারসিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শিক্ষক-সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণ।অনুষ্ঠানে মাঠ দিবসের লক্ষ্য ও গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন বারসিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডল, কৃষক নেতা লোকনাথ মন্ডল, নিমাই মন্ডল, হাবিবুর রহমান, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কৃষাণী নাজমুন নাহার, ভগবতী রানী ও লুৎফর রহমান। বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার প্রভাবে ধান চাষ দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। এ অঞ্চলে একসময় বহু দেশীয় ধানের চাষ হলেও বর্তমানে হাইব্রিড ও উফশী জাতের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় অনেক স্থানীয় জাত বিলুপ্তির পথে। হারিয়ে যাওয়া এসব ধান পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে বারসিক এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থায় স্থানীয় জাত সংরক্ষণের বিকল্প নেই।কৃষক নেতা নিমাই মন্ডল বলেন, “হাইব্রিড ও উফশী ধানে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও স্থানীয় জাত সংরক্ষণে উদ্যোগ কম। অথচ টেকসই কৃষির জন্য দেশীয় জাত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষকরা গবেষণাধীন প্লট পরিদর্শন করেন এবং জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা সহনশীলতা, কম সার প্রয়োগ, রোগ-পোকা প্রতিরোধক্ষমতা, লম্বা শিষ, চিকন দানা ও সুগন্ধসহ নানা বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় পছন্দের জাত নির্বাচন করেন।উপকূলীয় কৃষকদের মতে, দেশীয় জাত রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগই ভবিষ্যৎ কৃষিকে টিকিয়ে রাখার মূল চাবিকাঠি।


















