মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ আজ ৩০ জুলাই বুধবার বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র উদ্যোগে উপকুলীয় এলাকার তৈরিকৃত কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিক্ষণ কেন্দ্রের চর্চাকারীদের আন্তঃ অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্টিত হয়। এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ে কর্মএলাকার পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর, ইশ্বরীপুর ও শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের শিখন কেন্দ্রের ২৪ জন উদ্যোগ গ্রহনকারী মুন্সিগঞ্জের লোকনাথ মন্ডলের, রমজাননগরের রফিকুল ইসলাম ও কেরামত আলীর এবং ও শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের দেলোয়ারা, নিমাই মন্ডল, গঙ্গা রানীর কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ।পরিদর্শনকারী কৃষানী মলিনা রানী বলেন,‘কানে শোনার চেয়ে দেখা অনেক ভালো। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়। আমরা আজ এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে অনেক উদ্যোগ ও চর্চা সম্পর্কে দেখতে ও জানতে পেরেছি। এটি আমাদের শিক্ষন কেন্দ্র গুলো উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে। আজ আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন টাওয়ার, স্যালাইন, কলস, বস্তা, মালচিং, সমন্বিত খামার, ক্যারেট সহ অব্যবহারিত বিভিন্ন জিনিসে (বালতি, গামলা, মাটির মালসা, পট ইত্যাদি) সবজী চাষ হচ্ছে সেসব পদ্ধতি দেখতে পেলাম। পরিদর্শনে অংশগ্রহনকারী, গোবিন্দ, কেরামত আলী, নিমাই মন্ডল ও কনিকা রানীরা জানান যে, ‘আমরা দুর্যোগ এলাকায় বাস করি। প্রতিনিয়ত আমাদেরে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হচ্ছে। তার জন্য আমাদের বিভিন্ন অভিযোজন কৌশল, প্রশিক্ষণ ও উপকরণ দরকার যেটা বারসিকের সহায়তায় এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরের মাধ্যমে পেয়েছি। আয়োজনকারী বারসিক কর্মকর্তারা জানান যে, ‘বারিসক দীর্ঘদিন ধরে উপকুলীয় এলাকায় কাজ করছে। সে কাজের ধারবাহিকতায় অন্যান্য কাজের সাথে শ্যামনগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২৫ টি শিখন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা আছে যার মধ্যে ইতিপূর্বে ১৯ টি সেন্টার তৈরি হয়েছে। যারা নিজের উন্নয়নের পাশপাশি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাদের বাড়ি গুলো এক একটি শিখন কেন্দ্রে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসুচি চলমান রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.