ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে বনজীবীদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ ,শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী বনজীবী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। তাদের প্রধান জীবিকা হলো বন থেকে সংগৃহীত সম্পদের ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীর জন্য প্রায়শই খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।এই বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর এর উদ্যোগে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (০৩ জুন) তারিখে সকাল ৯ টায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলাকার বনজীবী পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়। এ সময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কুমার মজুমদার এর উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় এ চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
এই কর্মসূচির আওতায় মোট ১২৯৩ টি পরিবারকে, পরিবারপ্রতি ৫৬ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হয়েছে। চাল বিতরণ কার্যক্রমটি সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
এ সময় উপস্থিত অতিথিগণ বলেন, “এই ধরনের সহায়তা কার্যক্রম বনজীবী সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধের একটি অংশ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে সরকারের পক্ষ থেকে। চাল গ্রহণকারী একজন উপকারভোগী বলেন, “আমাদের জীবনে এমন সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। চাল বিতরণ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের ১২৯৩ টি পরিবারের হাতে চাল উঠিয়ে দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ একদিকে যেমন উপকারভোগীদের মুখে হাসি ফোটায়, অন্যদিকে সমাজে সহানুভূতির বন্ধন দৃঢ় করে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বনজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে বনজীবীদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ ,শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী বনজীবী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। তাদের প্রধান জীবিকা হলো বন থেকে সংগৃহীত সম্পদের ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীর জন্য প্রায়শই খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।এই বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর এর উদ্যোগে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (০৩ জুন) তারিখে সকাল ৯ টায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলাকার বনজীবী পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়। এ সময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কুমার মজুমদার এর উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় এ চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
এই কর্মসূচির আওতায় মোট ১২৯৩ টি পরিবারকে, পরিবারপ্রতি ৫৬ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হয়েছে। চাল বিতরণ কার্যক্রমটি সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
এ সময় উপস্থিত অতিথিগণ বলেন, “এই ধরনের সহায়তা কার্যক্রম বনজীবী সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধের একটি অংশ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে সরকারের পক্ষ থেকে। চাল গ্রহণকারী একজন উপকারভোগী বলেন, “আমাদের জীবনে এমন সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। চাল বিতরণ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের ১২৯৩ টি পরিবারের হাতে চাল উঠিয়ে দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ একদিকে যেমন উপকারভোগীদের মুখে হাসি ফোটায়, অন্যদিকে সমাজে সহানুভূতির বন্ধন দৃঢ় করে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বনজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।