শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

- আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন, ঝিনাইদহ;অবশেষে শৈলকূপার জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের পথে! ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয় মোঃ আসাদুজ্জামানের বিশেষ উদ্যোগে শৈলকূপায় স্থাপিত হতে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএমইটি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৫০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি ইউনিট। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিকে কাজে লাগিয়ে এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের যে লক্ষ্য মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়েছেন, এটি তারই প্রথম বাস্তবায়ন।
মেগা প্রকল্পে ভিআইপি ফোকাস: ৮০টি কেন্দ্রের দ্রুত কাজ শুরু বিদেশে যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য সারা দেশে ৮০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের যে মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, শৈলকূপার কেন্দ্রটি তারই অংশ। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত তরান্বিত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল তৎপর হয়েছে।
* ‘গ্রিন সিগন্যাল’: সম্প্রতি, ‘উপজেলা পর্যায়ে ৮০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (PSC) গুরুত্বপূর্ণ সভার কার্যবিবরণী সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এটিই প্রকল্পের কাজে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ হিসাবে বিবেচিত।
* সর্বোচ্চ তদারকি: প্রকল্পের অগ্রগতিতে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রমাণ করে এর গুরুত্ব। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (NSDA) মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সচিব ও মহাপরিচালকরা সরাসরি এর তদারকি করছেন।
কেন শৈলকূপার জন্য এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গেম চেঞ্জার?
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো:
* দক্ষ শ্রমিক তৈরি: প্রবাসে যাওয়ার আগেই কর্মীদের হাতে-কলমে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
* উচ্চ উপার্জন: দক্ষ শ্রমিকেরা বিদেশে গিয়ে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন।
* রেমিট্যান্স বৃদ্ধি: এর ফলে দেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে, যা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।
মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের এই উদ্যোগের ফলে এখন শৈলকূপার যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের জন্য আর দূরে ছুটতে হবে না। স্থানীয়ভাবেই তারা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈধ ও নিরাপদ পথে বিদেশে যেতে পারবেন। এই প্রশাসনিক তৎপরতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির কাজ খুব শীঘ্রই ব্যাপক গতিতে শুরু হতে চলেছে।