ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রাণীশংকৈলে বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাবেক নৌ সদস্যের মৃত্যু বকশীগঞ্জ নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ জহুরুল হোসেন শ্যামনগরে জেলা প্রশাসকের নানাবিধ উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পুলিশের মাসিক পরিদর্শন সোনাগাজীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা বেপরোয়া চেয়ারম্যান পরিবহন, আতঙ্কে দুমকীবাসী

শৈলকূপাতে মমত প্রসূতিকে জীবিত দেখানো অন্তপর ক্লিনিক সিলগালা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

মো: রাসেল হোসেন,নিজেস্ব প্রতিনিধি।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর মৃত প্রসূতিকে জীবিত দেখিয়ে কৌশলে লাশ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের এক ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনরা ফুঁসে উঠেছে। বেগতিক দেখে ওই ক্লিনিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শৈলকুপা শহরের কবিরপুর খন্দকার (প্রাইঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পুলিশ ও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মালিথিয়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে খন্দকার (প্রাইঃ) হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের জন্য ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে সিজার করেন কথিত ডাক্তার কাশমিম সুজন। আর রোগীর এনেসথেসিয়া করেন আরেক চিকিৎসক মুনতাসির রহমান। সিজারের পরপরই মারা যান প্রসূতি ফাতেমা খাতুন। তবে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।স্বজনদের অভিযোগ, সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু হলেও জীবিত থাকার মিথ্যা আশ^াস দিয়ে লাশ এ্যাম্বুলেন্স যোগে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান ডাক্তাররা রোগীর স্বজনদের জানান প্রসূতি অনেক আগেই মারা গেছেন। এদিকে মৃত্যুর জানাজানি হয়ে পড়লে রোববার রাতে খন্দকার (প্রাইঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে শৈলকুপার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বনি আমিন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল সিলগালা করে দেন। একই সাথে অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিক বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন।শৈলকুপার সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) বনি আমিন সোমবার বিকালে জানান, অভিযুক্ত প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধসহ ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিক বন্ধ থাকবে। প্রসূতির স্বামী জাহিদুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে সিজারের নামে হত্যা করা হয়েছে। সিজারের আগে সে সুস্থ্য ছিল। তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে বলেন, মৃত্যুর পরেও কেন তার স্ত্রীকে কুষ্টিয়া পাঠানো হলো ? অভিযুক্ত কবিরপুর প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ রেজা সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা রোগীর স্বজনদের সাথে বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলেছি, তারপরও কেন বন্ধ করা হলো তা বোধগম্য নয়। প্রসূতির মৃত্যু প্রসঙ্গে চিকিৎসক কাশমিম সুজন জানান, ‘আমি তো আপনাদের ভাই, নিউজ করার দরকার নেই, একটু দেখবেন’।শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আহসানুল মিজান রুমি জানান, অপারেশনের চিকিৎসক কাশমিম সুজনকে গত মার্চ মাসে চিঠি ( স্মারক নং-উপ:স্বা:কম:/শৈল/ঝি/২৪/২৯৩) দিয়ে ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ব্যাতিরিকে কোন অপারেশন না করতে বলা হলেও তিনি আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশ করে যাচ্ছেন, যা সরকারী আদেশের পরিপন্থি। তিনি আরো জানান, এর আগেও ওই চিকিৎসকের হাতে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ফলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শৈলকূপাতে মমত প্রসূতিকে জীবিত দেখানো অন্তপর ক্লিনিক সিলগালা

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

মো: রাসেল হোসেন,নিজেস্ব প্রতিনিধি।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর মৃত প্রসূতিকে জীবিত দেখিয়ে কৌশলে লাশ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের এক ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনরা ফুঁসে উঠেছে। বেগতিক দেখে ওই ক্লিনিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শৈলকুপা শহরের কবিরপুর খন্দকার (প্রাইঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পুলিশ ও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মালিথিয়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে খন্দকার (প্রাইঃ) হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের জন্য ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে সিজার করেন কথিত ডাক্তার কাশমিম সুজন। আর রোগীর এনেসথেসিয়া করেন আরেক চিকিৎসক মুনতাসির রহমান। সিজারের পরপরই মারা যান প্রসূতি ফাতেমা খাতুন। তবে তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।স্বজনদের অভিযোগ, সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু হলেও জীবিত থাকার মিথ্যা আশ^াস দিয়ে লাশ এ্যাম্বুলেন্স যোগে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান ডাক্তাররা রোগীর স্বজনদের জানান প্রসূতি অনেক আগেই মারা গেছেন। এদিকে মৃত্যুর জানাজানি হয়ে পড়লে রোববার রাতে খন্দকার (প্রাইঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে শৈলকুপার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বনি আমিন অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল সিলগালা করে দেন। একই সাথে অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিক বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন।শৈলকুপার সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) বনি আমিন সোমবার বিকালে জানান, অভিযুক্ত প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধসহ ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিক বন্ধ থাকবে। প্রসূতির স্বামী জাহিদুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে সিজারের নামে হত্যা করা হয়েছে। সিজারের আগে সে সুস্থ্য ছিল। তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে বলেন, মৃত্যুর পরেও কেন তার স্ত্রীকে কুষ্টিয়া পাঠানো হলো ? অভিযুক্ত কবিরপুর প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ রেজা সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা রোগীর স্বজনদের সাথে বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলেছি, তারপরও কেন বন্ধ করা হলো তা বোধগম্য নয়। প্রসূতির মৃত্যু প্রসঙ্গে চিকিৎসক কাশমিম সুজন জানান, ‘আমি তো আপনাদের ভাই, নিউজ করার দরকার নেই, একটু দেখবেন’।শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আহসানুল মিজান রুমি জানান, অপারেশনের চিকিৎসক কাশমিম সুজনকে গত মার্চ মাসে চিঠি ( স্মারক নং-উপ:স্বা:কম:/শৈল/ঝি/২৪/২৯৩) দিয়ে ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ব্যাতিরিকে কোন অপারেশন না করতে বলা হলেও তিনি আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশ করে যাচ্ছেন, যা সরকারী আদেশের পরিপন্থি। তিনি আরো জানান, এর আগেও ওই চিকিৎসকের হাতে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ফলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।