ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

শাল্লায় বোরোধানের বাম্পার ফলন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

তৌফিকুর রহমান তাহের,(সুনামগঞ্জ)দিরাই,শাল্লা প্রতিনিধিঃ

বৈশাখের প্রখর রোদ ঝড়বৃষ্টি বজ্রপাত উপেক্ষা করে স্বপ্নের ফসল তুলতে ঘরে-বাইরে ব্যস্হ কৃষাণ-কৃষানীরা।

চলতি বছরের বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। বৈশাখের প্রখর রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলার জন্য সময় পার করছেন হাওর পাড়ের কৃষক-কৃষাণীরা। সোনালি ফসল ঘরে তুলতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্হানীয় সরকারি বেসরকারী চাকুরিজীবিও বসে নেই হরদমই চলছে খলায়,মাঠে কাজ। কয়েকদিন অতিবৃষ্টির কারণে কৃষক ধান শুকাতে না পারায় কিছুটা ভোগান্তির শিকার হয়,নাহয় এতদিনে প্রায় শেষ হয়ে যেত ধান কাটা।বলেন,সোনাকানী গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়া।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তোলার আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার ছায়া, ভরাম, কালিয়ারকোটাসহ মোট ছয়টি হাওরেই ফলনের কোনো কমতি নেই। প্রত্যেক হাওরেই ফলেছে বাম্পার ফলন। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, হাওরের অধিকাংশ ফসল ৮০ ভাগ পাকাধান।ধান কাটার ধুম পড়েছে মাঠে মাঠে। কোনো কোনো হাওরে শ্রমিক সংকট থাকলেও সেই সংকট নিরসনে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তরসহ তাদের সকল মাঠকর্মীরা। বৈশাখের প্রখর রোদ ঝড়বৃষ্টি ও তাপদাহ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কৃষকরা।

কৃষক-শ্রমিক মিলে কাটছেন ধান। হাতে কাটা ধান মাড়াই হচ্ছে বোমা মেশিনে।বেশির ভাগ কৃষকরা ধান কাটাচ্ছেন মেশিনের (কম্বাইন হারভেস্টার) সাহায্যে।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় হাইব্রিড জাতেরধান বেশি চাষ করেছেন কৃষকরা আবহাওয়া,অনুকূলে থাকায় ও কৃষকের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচর্যা এবং সময়মতো সেচ ও সার কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কথা হয় উপজেলার আটগাঁও গ্রামের কৃষক মমিন আলী একরাম মিয়া,আব্দুল আওয়াল মড়ল,শাহজাহান বাজারকান্দি গ্রামের সুমেশ সমাজপতি সাথে উনারা বলেন,এইবার বাম্পার ফসল ফলছে ঠিকই কিছুটা বৃষ্টির কারণে আমরা ধান শুকাতে পারছিনা।আর টাডা(বজ্রপাত)পইড়া প্রতিদিনেই মানুষ মরছে,দিন ধরাইলে বুঝা যাইবো কি লাগাত ধান কাটা যায় আর শুকানি যায়,বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা। তবে ওদের মুখেছিল মৃদুহাসি। অন্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তিনি মাড়া কাটা শেষ করতে পারবেন বলে জানান। 

কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন,কৃষকদের সাথে কথা বলে ও হাওর ঘুরে দেখেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। ফসল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আমরা প্রতিদিন হাওরে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ধান কর্তন শেষ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শাল্লায় বোরোধানের বাম্পার ফলন

আপডেট সময় : ১১:১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

তৌফিকুর রহমান তাহের,(সুনামগঞ্জ)দিরাই,শাল্লা প্রতিনিধিঃ

বৈশাখের প্রখর রোদ ঝড়বৃষ্টি বজ্রপাত উপেক্ষা করে স্বপ্নের ফসল তুলতে ঘরে-বাইরে ব্যস্হ কৃষাণ-কৃষানীরা।

চলতি বছরের বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। বৈশাখের প্রখর রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলার জন্য সময় পার করছেন হাওর পাড়ের কৃষক-কৃষাণীরা। সোনালি ফসল ঘরে তুলতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্হানীয় সরকারি বেসরকারী চাকুরিজীবিও বসে নেই হরদমই চলছে খলায়,মাঠে কাজ। কয়েকদিন অতিবৃষ্টির কারণে কৃষক ধান শুকাতে না পারায় কিছুটা ভোগান্তির শিকার হয়,নাহয় এতদিনে প্রায় শেষ হয়ে যেত ধান কাটা।বলেন,সোনাকানী গ্রামের আব্দুল হান্নান মিয়া।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তোলার আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার ছায়া, ভরাম, কালিয়ারকোটাসহ মোট ছয়টি হাওরেই ফলনের কোনো কমতি নেই। প্রত্যেক হাওরেই ফলেছে বাম্পার ফলন। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, হাওরের অধিকাংশ ফসল ৮০ ভাগ পাকাধান।ধান কাটার ধুম পড়েছে মাঠে মাঠে। কোনো কোনো হাওরে শ্রমিক সংকট থাকলেও সেই সংকট নিরসনে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তরসহ তাদের সকল মাঠকর্মীরা। বৈশাখের প্রখর রোদ ঝড়বৃষ্টি ও তাপদাহ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কৃষকরা।

কৃষক-শ্রমিক মিলে কাটছেন ধান। হাতে কাটা ধান মাড়াই হচ্ছে বোমা মেশিনে।বেশির ভাগ কৃষকরা ধান কাটাচ্ছেন মেশিনের (কম্বাইন হারভেস্টার) সাহায্যে।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় হাইব্রিড জাতেরধান বেশি চাষ করেছেন কৃষকরা আবহাওয়া,অনুকূলে থাকায় ও কৃষকের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচর্যা এবং সময়মতো সেচ ও সার কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কথা হয় উপজেলার আটগাঁও গ্রামের কৃষক মমিন আলী একরাম মিয়া,আব্দুল আওয়াল মড়ল,শাহজাহান বাজারকান্দি গ্রামের সুমেশ সমাজপতি সাথে উনারা বলেন,এইবার বাম্পার ফসল ফলছে ঠিকই কিছুটা বৃষ্টির কারণে আমরা ধান শুকাতে পারছিনা।আর টাডা(বজ্রপাত)পইড়া প্রতিদিনেই মানুষ মরছে,দিন ধরাইলে বুঝা যাইবো কি লাগাত ধান কাটা যায় আর শুকানি যায়,বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা। তবে ওদের মুখেছিল মৃদুহাসি। অন্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তিনি মাড়া কাটা শেষ করতে পারবেন বলে জানান। 

কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন,কৃষকদের সাথে কথা বলে ও হাওর ঘুরে দেখেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। ফসল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আমরা প্রতিদিন হাওরে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ধান কর্তন শেষ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।