শাল্লায় অর্থ লেনদেনে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

- আপডেট সময় : ১০:২৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

তৌফিকুর রহমান তাহের,সুনামগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আল আমিন মিয়া। পদ-প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণের অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শৈলেন্দু কুমার দাসসহ আরও কয়েকজন।
জানা গেছে, উপজেলার বাহাড়া ও শাল্লা ইউনিয়নে ইতোমধ্যেই ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আটগাঁও ইউনিয়নের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কৃত হওয়ায় সেখানে কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হবিবপুর ইউনিয়নে কমিটি গঠনের আগেই মোঃ আল আমিন মিয়ার বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
২১ সেপ্টেম্বর ( রবিবার ) সন্ধ্যায় শৈলেন্দু কুমার দাসসহ ছয়জন সদস্য জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, আহ্বায়ক আল আমিন মিয়া ব্যক্তিগত স্বার্থে লোভের বশবর্তী হয়ে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অগ্রাহ্য করে, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগপন্থী ও নিজের ঘনিষ্ঠদের পদদিতে পদ-প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারীরা আরও জানান, কমিটি ঘোষণার আগে সদস্যদের স্বাক্ষর গ্রহণের চেষ্টা করা হলেও অধিকাংশ সদস্য এতে রাজি হননি। তারা জেলা বিএনপির কাছে এ বিষয়ে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
হবিবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী ছিদ্দিকুর রহমান পৃথকভাবে একটি অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তাকে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোঃ আল আমিন মিয়া তার কাছ থেকে ৫,০০০(পাঁচ হাজার) টাকা নিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকেও অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন – ফয়েজুল্লাহপুর গ্রামের জিয়া মিয়া ও এমদাদুল হক, এবং বিষ্ণুপুর গ্রামের সোনাকান্ত বৈষ্ণব ও সুনীল শীল।
আহ্বায়ক মোঃ আল আমিন মিয়া অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, -ছিদ্দিক মিয়া আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। সভাপতি হতে না পেরে এধরনের অভিযোগ তুলেছেন।
এছাড়া শৈলেন্দু কুমার দাসের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, “তিনি নিজে কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।”
শাল্লা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, “আমি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
জেলা বিএনপির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য এডভোকেট আব্দুল হক বলেন, “শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়ন থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
সংগঠনগত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।