শায়েস্তাগঞ্জে ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে রেলপথ অবরোধ
- আপডেট সময় : ০২:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মুজিবুর রহমান,শায়েস্তাগঞ্জ হবিগঞ্জ সংবাদদাতা:
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: বৃহত্তর সিলেটবাসীর প্রাণের আট দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মইনুল হাসান রতনের সভাপতিত্বে এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমনের পরিচালনায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
বক্তাদের দাবি ও হুঁশিয়ারি
অবরোধ চলাকালে বক্তারা বাংলাদেশ রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত আট দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন:
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা
যুবদল নেতা মোঃ সবুজ মিয়া
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদ আহমেদ সোহেল
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ হুমায়ুন কবির
সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুন
সাংবাদিক হামিদুল হক বুলবুল
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম রিপন
শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের নেতা আবু সুফিয়ান পারভেজ প্রমুখ।
এ সময় এলাকার সর্বস্তরের জনগণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ এবং রেলওয়ে আরএনবি বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও স্থানীয় সাংবাদিকরাও অবরোধ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহত্তর সিলেটবাসীর আট দফা দাবি
অবরোধ কর্মসূচিতে বৃহত্তর সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়, সেগুলো হলো:
১. সিলেট-ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা।
২. আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ।
৩. আখাউড়া-সিলেট সেকশনে লোকাল ট্রেন চালু এবং শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেললাইন পুনরায় চালু করা।
৪. আখাউড়া-সিলেট সেকশনের সকল বন্ধ স্টেশন চালুকরণ।
৫. শায়েস্তাগঞ্জ জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
৬. সিলেট-ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের আযমপুরের পর ঢাকা অভিমুখী সকল স্টেশনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করা।
৭. সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করা।
৮. যাত্রীদের চাহিদা অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।









