শব্দ দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে বরিশাল নগরীতে

- আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
শব্দ দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বরিশাল নগরী। শহরের ২০টি পয়েন্টে দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ২০ ডেসিবেল বেশি। মাত্রারিক্ত শব্দ দূষণের জন্য যানবাহন চালকদের অসহযোগিতাকে দুষছে পরিবেশ অধিদপ্তর। দূষণ কমাতে চালকদের সচেতন করার পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুৎচালিত যানবাহন চালুর কথা চিন্তা করছে ট্রাফিক বিভাগ।
বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড ও নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অপ্রয়োজনে বাজছে হর্ন। এমন শব্দের মাঝে কাজ করতে করতে এখন কানে কম শোনেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন,কানে অনেক কম শুনছি। প্রতিদিনই নানা রোগে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি।শব্দ দূষণ বেড়ে যাওয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৩ সদস্য কানে কম শোনেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপে ও নয় জন হৃদরোগে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, নগরীর ২০টি পয়েন্টে শব্দ দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ২০ ডেসিবেল বেশি। চালকদের অসচেতনতায় দিন দিন তা বাড়ছে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আন্জুমান নেছা বলেন, চলার পথে পথচারীদের সাবধান করার পরিবর্তে চালকেরা যাত্রী ডাকতে গাড়ির হর্ন ব্যবহার করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যাত্রীদের আকর্ষণ কাড়া।
এ সমস্যা সমাধানে অর্থাৎ দূষণ কমাতে চালকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিকল্প যানবাহন চালুর পরামর্শ দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ডিসি ট্রাফিক এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘নগরীতে শব্দ দূষণের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা চাচ্ছি গ্যাস ও বিদ্যুৎচালিত যানবাহন চালু করতে। এতে করে শব্দ দূষণ অনেকটা কমে আসবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডে সড়কে শব্দের তীব্রতা ৫৩ ডেসিবলের মধ্যে রাখার সুপারিশ করা হয়।