লোহাগাড়ায় যুবকের অনলাইনেই জুয়ার ঋণের টাকার জন্য আত্নহত্যা

- আপডেট সময় : ০২:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ডা: মাহমুদুর রহমানের ভাড়া বাসায ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন পিপুল দে নিত্যদিনের মতন রাত্রে ঘুমাতে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য ডাকাডাকি করলে কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবক আত্মহত্যা করেছে। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে এস আই পারভেজের টিম যুবকের মরদেহ লাশ উদ্ধার করে থানার নিয়ে আসে।।
২৭ এপ্রিল (শনিবার) সকাল সাড়ে ৮ টায এ ঘটানাটি ঘটে।
নিহতের নাম পিপুল দে(২৭)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনগর এলাকার জগদিশ চন্দ্র দে’র পুত্র এবং তিনি ইউনাইটেড কনজুমান প্রোডাক্ট লোহাগাড়া উপজেলায় মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় সুত্রে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সদরে বটতলী স্টেশনে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের পার্শ্বে ডাঃ মাহমুদুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন পিপুল দে। কিছুদিন ধরে মোবাইলে অনলাইন জোয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পরেন জৈনিক।। বিষয়টি তার মামা জানতে পারলে মামা-ভাগিনার সাথে নিয়মিত ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। শুক্রবার রাতেও তার ভাগিনাকে মামা বকাঝকা করে।ওইদিন রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের মামা নিখিল দে জানান,তার ভাগিনা কিছুদিন ধরে অনলাইন জোয়া খেলায় আসক্ত ছিল।গতকাল রাতেও তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করে,বকাঝকা করে।প্রতিদিনের ন্যায় রাতে ভাগিনা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তাকে অনেকবার কল দিলে রিসিভ করছিলনা। পরে বাসায় গিয়ে দেখি রুমে তালাবদ্ধ। কোন সাড়াশব্দ নেই। তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে খবর দিই। দরজার তালা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ভাগিনার লাশ দেখতে পাই।
নিহতের বাবা জগদিশ দে জানান,আমার ছেলে তার মামার সাথে থাকে। মামার সাথে বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়াঝাটি হতো।।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতকানিয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলি নোমান, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,এস আই পারভেজ।।
ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান।।