ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজাপুরে জমি দখল করতে গিয়ে গাছ কেটে তিন লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হরিপুরে স্বপ্নসারথী গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ সর্বস্তরের জনগণ প্রথম আলো ও ইনকিলাব পত্রিকায় সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার

লাগামহীন মসলাসহ নিত্যপণ্যের বাজার

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র দুই দিন। এরই মধ্যে নাড়ির টানে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গিয়ে কোরবানি ঈদের আগেই যেন কোরবানি হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে মসলা থেকে শুরু করে শাকসবজি, ডিম, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য। কোরবানির ঈদ যত এগিয়ে আসছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলা কেনার ধুম। প্রতিটি দোকানেই বাড়ছে ভিড়। তবে মসলার দাম অতিরিক্ত বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।এ জেনো ঈদের আগে মসলার ঝাঁজ বেড়ে গেছে।

এলাচ প্রতিকেজি ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি। এ বছরের শুরু থেকেই মসলার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সর্বশেষ সপ্তাহখানেক আগে ফের বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। কোনো কোনো মসলার দাম কেজিতে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভালো মানের ছোট এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে চার হাজার ৬০০ টাকায়, যেটি সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছে চার হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।

জিরার দাম সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে কেজিতে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে সিরিয়ার জিরার দাম প্রতি কেজি ৮৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৯৬০ টাকা হয়েছে। ভারতের পার্টনার জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮০ টাকায়, যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৭৬০ টাকায়। ভারতীয় আরেক ধরনের জিরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, যার দাম আগে ছিল ৬৬০ টাকা।

কেজিতে ৪০০ টাকা করে বেড়েছে লবঙ্গ ও গোলমরিচের দামও। ইন্দোনেশিয়ার লবঙ্গ এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮৮০ টাকা কেজি দরে, সপ্তাহখানেক আগে যা বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৪০০ টাকায়।

ভারতীয় গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে, সপ্তাহখানেক আগে যা ছিল ৮০০ টাকা কেজি। শুকনা মসলার মতো পেঁয়াজ-রসুনের দামও বাড়তিই চলছে বাজারে। দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, কয়েকদিন আগে যা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। চায়না আদা এখন ৩২০ টাকা ও রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি পণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা করে বেড়েছে । মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বলছেন, বাড়তি দামের কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম মসলা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা । বাজার মনিটরিংয়ে সরকারের দুর্বলতাকে এর জন্য দায়ী করছেন ক্রেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

লাগামহীন মসলাসহ নিত্যপণ্যের বাজার

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া
কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র দুই দিন। এরই মধ্যে নাড়ির টানে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গিয়ে কোরবানি ঈদের আগেই যেন কোরবানি হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে মসলা থেকে শুরু করে শাকসবজি, ডিম, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য। কোরবানির ঈদ যত এগিয়ে আসছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলা কেনার ধুম। প্রতিটি দোকানেই বাড়ছে ভিড়। তবে মসলার দাম অতিরিক্ত বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।এ জেনো ঈদের আগে মসলার ঝাঁজ বেড়ে গেছে।

এলাচ প্রতিকেজি ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি। এ বছরের শুরু থেকেই মসলার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। সর্বশেষ সপ্তাহখানেক আগে ফের বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। কোনো কোনো মসলার দাম কেজিতে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভালো মানের ছোট এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে চার হাজার ৬০০ টাকায়, যেটি সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছে চার হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।

জিরার দাম সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে কেজিতে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে সিরিয়ার জিরার দাম প্রতি কেজি ৮৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৯৬০ টাকা হয়েছে। ভারতের পার্টনার জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮০ টাকায়, যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৭৬০ টাকায়। ভারতীয় আরেক ধরনের জিরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, যার দাম আগে ছিল ৬৬০ টাকা।

কেজিতে ৪০০ টাকা করে বেড়েছে লবঙ্গ ও গোলমরিচের দামও। ইন্দোনেশিয়ার লবঙ্গ এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮৮০ টাকা কেজি দরে, সপ্তাহখানেক আগে যা বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৪০০ টাকায়।

ভারতীয় গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে, সপ্তাহখানেক আগে যা ছিল ৮০০ টাকা কেজি। শুকনা মসলার মতো পেঁয়াজ-রসুনের দামও বাড়তিই চলছে বাজারে। দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, কয়েকদিন আগে যা বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। চায়না আদা এখন ৩২০ টাকা ও রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি পণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা করে বেড়েছে । মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বলছেন, বাড়তি দামের কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম মসলা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা । বাজার মনিটরিংয়ে সরকারের দুর্বলতাকে এর জন্য দায়ী করছেন ক্রেতারা।