গোলাম রব্বানী,হরিপুর (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃলালফিতার দৌরাত্ম্যে সরকারি রাস্তার দু-পাশে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ গুলো কাটা হচ্ছে না। সেই সাথে রাস্তার দু'পাশে পায়তালের(নিকড়ি) ঝুঁকিতে হরিপুর বাসী কঠিনভাবে আতংকিত। বৃষ্টি ও বাতাসে হেলে নুয়ে পড়ে রাস্তার অর্ধেক পর্যন্ত,পায়তাল হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার কোন জায়গায় এক পাশে আবার কোন জায়গায় দু-পাশে পায়তাল লাগিয়েছেন মানুষ। এতে করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তাছাড়াও বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়েও ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ধীরগঞ্জগামী রাস্তা সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি রোড রাস্তার দু-পাশে কিছু মরা পঁচা ফলের, কাঠের ও অন্যান্য গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। এতে ঘটতে পারে যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা । মৃত্যু পথযাত্রীর স্বীকার হতে পারে যে কেহ । গত কয়েকদিন আগে একটি মরা পঁচা গাছ অটোরিকশার উপরে পড়ে কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।তবুও প্রশাসনের পক্ষ হতে দীর্ঘদিনের মরা পঁচা গাছগুলো কর্তনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না । ইতঃপূর্বে গাছ কর্তনের আবেদন করেছেন ডাঙ্গীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। হরিপুর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন থেকে ৫ নং ইউনিয়ন পরিষদের একমাত্র চলাচলের রাস্তার দু-পাশে বিভিন্ন স্থানে মরা গাছ ও পায়তালের ছড়াছড়ি। অপরদিকে কাঁঠাল ডাঙ্গী বাজার হতে হরিপুর উপজেলায় যাতায়াতের রাস্তায় একই অবস্থা দেখা যায়।
যেখানে হরিপুর উপজেলার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন সুশিল সমাজ। প্রশাসনের উদাসীনতা কারণে মরা গাছ গুলো কাটার আবেদন লালফিতার দৌরাত্ম্যে আটকে আছে। এলাকায় মানুষের প্রশ্ন? মরা কাঁঠাল গাছ, মেহগনি ও অন্যান্য গাছসহ পায়তালগুলো দ্রুত কর্তন করা না হলে, ঘটতে পারে যেকোন সময় দূর্ঘটনা । দুর্ঘটনার দায়ভার নিবে কে । ডাঙ্গীপাড়ার রাস্তায় যাত্রীর সামনে আবারও কিছুদিন পূর্বে কয়েকটি মরা ডাল ভেঙে পড়ায় তাদের ক্ষোভ ও এলাকায় জনসাধারণের দাবি মরা গাছসহ পায়তালগুলো দ্রুত কর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক । নচেৎ এর পর যদি কেউ মরা গাছ পড়ে আহত বা নিহত হয় তাহলে এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে, যারা দায়িত্বে অবহেলায় করিতেছেন।
এ ব্যাপারে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণকে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.