রাস্তার কাজে অনিয়মের প্রতিবাদে পরশুরামের সাংবাদিকদেরকে অকথ্য গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান

- আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০১ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ, ফেনী জেলা স্টাফ রিপোর্টার:পরশুরাম উপজেলা পরিষদ সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই পরিচয় দেয়া ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সদস্য ঠিকাদার জাহিদ হোসেন মজুমদার ও তার ভাতিজা তানজিম হোসেন তায়েমসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলা সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এসে সেখান থেকে সাংবাদিকদেরকে উদ্ধার করেন।
উপজেলা সড়কের উন্নয়নে কাজ শুরু হওয়ার পর ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয়।
উপজেলা সড়ক উন্নয়নে কোভিড ১৯ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে আরসিসি ও ড্রেন নির্মাণ কাজ পান অনলাইন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন মজুমদার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সড়কে ইটের গাঁথুনিতে নিম্নমানের ও শ্যাওলা ধরা ইট ব্যবহার করে কাজ করছিল ঠিকাদার জাহিদের লোকজন।
পরশুরামে কর্মরত সাংবাদিকরা ইউএনও ফাহরিয়া ইসলাম ও এসিল্যান্ড এসএম শাফায়াত আকতার নূরকে বিষয়টি জানান। ইউএনও এসিল্যান্ডকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
এসিল্যান্ড সরেজমিনে সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কাজের অনিয়ম দেখে এসিল্যান্ড গাঁথুনি থেকে ইট খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।
এদিকে সন্ধ্যায় উপজেলা সড়কের শুভেচ্ছা কম্পিউটারে পেশাগত কাজ করছিলেন পরশুরামে কর্মরত সাংবাদিকরা।
সেখানে ঠিকাদার জাহিদ,তার ভাতিজা তায়েম ও ম্যানেজার মো: নয়নসহ ৫-৭ জন পশ্চিম দিক থেকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
কেন এ অভিযোগ করা হয়েছে এসব কথা এ সময় তার ভাতিজা তায়েম পরশুরাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ হাসান,সহ সভাপতি সবীর আহমদ ফোরকান,কোষাধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন, সহ সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন মিশু, ক্রীড়া সম্পাদক মো ইব্রাহিমের দিকে তেড়ে এসে হামলার চেষ্টা করে। এসময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাধারন সম্পাদক মো মহি উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য গাজী মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলামসহ আশপাশের মানুষ উপস্থিত হয়ে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
এরপরও তিনি সাংবাদিকদেরকে ‘সাংঘাতিক’ আখ্যা দিয়ে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন।খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হাকিমসহ পুলিশ সদস্যরা। তার মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে পরশুরাম মডেল থানায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
ঠিকাদার জাহিদ হোসেন জানান, সাংবাদিকদেরকে গালিগালাজের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি স্বীকার করেন, কিছু ইটে শেওলা ধরা ছিল। কে বা কারা তাকে জানিয়েছেন,সাংবাদিকরা দেয়ালে গাথুনির ইট লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে।সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পরে সাংবাদিকরা একের পর এক মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছে।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম থানায় জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।