রাসেলস ভাইপার সাপে কাটলে যে সব কাজ করা যাবে না

- আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
দেশের ২৭টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভীষণভাবে। কিন্তু আতঙ্ক দিয়ে তো আর নিষ্কৃতি মেলে না।
শুধু রাসেলস ভাইপার কেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে আছে গোখরা, কেউটেসহ নানা জাতের বিষধর সাপ। প্রায়শই মানুষ এসব সাপ দ্বারা আক্রান্ত হয়। সাপ কামড়ালেই মানুষ এক রকম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ফলে চিকিৎসা ব্যাহত হয়। ভুক্তভোগীদের একটি বড় অংশই আবার চিকিৎসক বা হাসপাতালের শরণ না নিয়ে ওঝা বা সাপুড়েদের শরণাপন্ন হন। ফলে নিষ্কৃতি তো দূর, সংকট বাড়ে।
সাপে কামড়ালে যা করবেন না:-
ক্ষতস্থান অতিরিক্ত শক্ত করে বাঁধবেন না।
ক্ষতস্থান কেটে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না।
সাপুড়ে বা ওঝাদের ডেকে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
বমি হলে, মুখ দিয়ে ফেনা বের হলে বা কথা বলতে কষ্ট হলে মুখ দিয়ে কিছু দিতে যাবেন না।
কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করে বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতস্থানের মুখ বন্ধের চেষ্টা করবেন না।
কোনো ধরনের পাথর, লালা, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, কাদা, গোবর, কোনো ধরনের বীজ বা ভেষজ ওষুধ প্রয়োগ করতে যাবেন না। সাপের কামড়ের নিদানে এগুলো কিছু করতে পারে না।
অ্যালকোহল বা এ ধরনের কোনো কিছু প্রয়োগ করবেন না।
অ্যাসপিরিন বা কোনো ব্যাথানাশক ওষুধ দেবেন না।
তেল, ঘি, মরিচ ইত্যাদি গৃহস্থালি দ্রব্যাদি অনেক সময় প্রয়োগ করতে দেখা যায়। এগুলো কুসংস্কার মাত্র।
আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করুন বরং।
চিকিৎসা সেবা নিতে দেরি হয় এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন।
সাপে কাটা রোগীদের ক্ষেত্রে ‘রুল অব ১০০’–কে খুবই গুরুত্ব দেন এ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞরা। এই রুল অব হান্ড্রেড হচ্ছে—সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে যথাযথ পরীক্ষার পর চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ১০০ মিলিমিটার অ্যান্টিভেনম ভুক্তভোগীর শরীরে প্রবেশ করাতে পারলে রোগীর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। তাই করণীয়র দিকে মনোযোগ দিন। অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে এবং অতি অবশ্যই ওঝা বা সাপুড়ের মতো ভুল পথে হেঁটে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং নিকটস্থ হাসপাতালে রোগীকে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাহলেই সাপে কাটা রোগীকে বাঁচানো যাবে।