ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

রাসেলস ভাইপারের ভয় না কাটতেই ক্ষতিকর আফ্রিকান শামুকের দেখা মিললো হোসেনপুরে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, মোঃ ইয়াছিন আরাফাতঃ-
দেশের মানুষ যখন ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতংকিত ঠিক তখনই দেখা মিললো কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের । এলাকার সাধারণ মানুষ এই শামুকের ক্ষতি করার সক্ষমতা সর্ম্পকে অবগত নয়। এই শামুক বিশ্বের যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশের জীব বৈচিত্র্যে ও কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এরা ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকর।বাগান নষ্ট করে ফেলে।সড়কে অবস্থান করায় ছোট যান বাহনের জন্য রয়েছে ঝুঁকি।

সন্ধ্যা হলেই ঝাকেঝাকে বের হয়ে আসে। আর দিনের বেলায় অত্যাধিক সূর্যালোক থেকে বাচঁতে লুকিয়ে থাকে। অতি বৃষ্টির সময় এরা দালানের দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে আশ্রয় নেয়। দালানের জন্যও এ শামুক ক্ষতিকর। এর মাংস খুবই শক্ত বিধায় পশু-পাখিরাও খেতে চায় না।
তাই অনেক দেশে এই শামুক শতভাগ নির্মলের জন্য রীতিমত যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার ফ্লোরিডা, ভারতের কেরেলা এবং কর্ণাটক রাজ্যের কোদাগু জেলা। ভারতের কৃষক গত তিন দশক ধরে এই শামুকের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করে আসছে। সম্প্রতি তারা সফলতার মুখ দেখতে পেরেছে। তারা এই শামুকের ব্যাপারে যে নীতি অনুসরণ করে তা হলো ‘ধর এবং মার’ নীতি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও এই শামুক নির্মলের ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, নিরীহ এ প্রাণীটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। বিচিত্র নতুন প্রজাতির এ শামুকটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু ছড়িয়েই পড়েনি, হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে উপজেলার কৃষি ব্যবস্থাকে।

উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের হিরন রবি দাস জানান,এই শামুক রাতে হাটা চলা করতে দেখা যায়,খুবই ভয়ংকর প্রজাতির শামুক এটি,আমাদের বাড়ির গাছে,ঘরের দেয়ালে/বেড়ায় দলবেঁধে বসে থাকে।বিভিন্ন গাছের পাতা,ফলমূল খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।

সচেতন মহল মনে করেণ,
ক্ষতিকর শামুকের এ প্রজাতিটি নির্মূলের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং যেভাবেই হোক এর প্রজনন ও বৃদ্ধি প্রক্রিয়া নষ্ট করতে হবে।অন্যথায় এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এতে গোটা দেশের কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।

শামুক হচ্ছে প্রাকৃতিক ফিল্টার। শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরিগণিত। আমাদের দেশীয় যে শামুক আছে সেটি উপকারী এবং তারা স্থলভূমিতে উঠে আসে না, বরং পানিতেই থাকে। কিন্তু আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক গাছপালা, লতাপাতা, ফলমূল খেয়ে ধ্বংস করে। যা আমাদের দেশের কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ । এব্যাপারে জানতে চাইলে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান এশামুকটি অনেক ক্ষতিকর যার সামনেই পরবে তাকে মেরে ফেলাই ভাল ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রাসেলস ভাইপারের ভয় না কাটতেই ক্ষতিকর আফ্রিকান শামুকের দেখা মিললো হোসেনপুরে

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি, মোঃ ইয়াছিন আরাফাতঃ-
দেশের মানুষ যখন ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতংকিত ঠিক তখনই দেখা মিললো কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের । এলাকার সাধারণ মানুষ এই শামুকের ক্ষতি করার সক্ষমতা সর্ম্পকে অবগত নয়। এই শামুক বিশ্বের যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশের জীব বৈচিত্র্যে ও কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এরা ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকর।বাগান নষ্ট করে ফেলে।সড়কে অবস্থান করায় ছোট যান বাহনের জন্য রয়েছে ঝুঁকি।

সন্ধ্যা হলেই ঝাকেঝাকে বের হয়ে আসে। আর দিনের বেলায় অত্যাধিক সূর্যালোক থেকে বাচঁতে লুকিয়ে থাকে। অতি বৃষ্টির সময় এরা দালানের দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে আশ্রয় নেয়। দালানের জন্যও এ শামুক ক্ষতিকর। এর মাংস খুবই শক্ত বিধায় পশু-পাখিরাও খেতে চায় না।
তাই অনেক দেশে এই শামুক শতভাগ নির্মলের জন্য রীতিমত যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকার ফ্লোরিডা, ভারতের কেরেলা এবং কর্ণাটক রাজ্যের কোদাগু জেলা। ভারতের কৃষক গত তিন দশক ধরে এই শামুকের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করে আসছে। সম্প্রতি তারা সফলতার মুখ দেখতে পেরেছে। তারা এই শামুকের ব্যাপারে যে নীতি অনুসরণ করে তা হলো ‘ধর এবং মার’ নীতি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও এই শামুক নির্মলের ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, নিরীহ এ প্রাণীটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। বিচিত্র নতুন প্রজাতির এ শামুকটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু ছড়িয়েই পড়েনি, হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে উপজেলার কৃষি ব্যবস্থাকে।

উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের হিরন রবি দাস জানান,এই শামুক রাতে হাটা চলা করতে দেখা যায়,খুবই ভয়ংকর প্রজাতির শামুক এটি,আমাদের বাড়ির গাছে,ঘরের দেয়ালে/বেড়ায় দলবেঁধে বসে থাকে।বিভিন্ন গাছের পাতা,ফলমূল খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে।

সচেতন মহল মনে করেণ,
ক্ষতিকর শামুকের এ প্রজাতিটি নির্মূলের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং যেভাবেই হোক এর প্রজনন ও বৃদ্ধি প্রক্রিয়া নষ্ট করতে হবে।অন্যথায় এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এতে গোটা দেশের কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।

শামুক হচ্ছে প্রাকৃতিক ফিল্টার। শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরিগণিত। আমাদের দেশীয় যে শামুক আছে সেটি উপকারী এবং তারা স্থলভূমিতে উঠে আসে না, বরং পানিতেই থাকে। কিন্তু আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক গাছপালা, লতাপাতা, ফলমূল খেয়ে ধ্বংস করে। যা আমাদের দেশের কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ । এব্যাপারে জানতে চাইলে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান এশামুকটি অনেক ক্ষতিকর যার সামনেই পরবে তাকে মেরে ফেলাই ভাল ।