ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে শ্যামনগর কৈখালীতে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট উদ্বোধন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক ফেনীতে স্বামীকে হ’ত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক

রাতের আঁধারে রাজধানীর অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে মিলছে ভয়াবহ মাদক

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর।

রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মিলছে ভয়াবহ মাদক ‘সিসা’। রাতভর এগুলোর সিসা লাউঞ্জে উঠতি বয়সিদের বড় একটা অংশকে দেখা যায় নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে চলছে অবৈধ এসব সিসা লাউঞ্জ — সেটাই প্রশ্ন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

রাতের নগরীতে অভিজাত এলাকায় এ যেন রঙিন আলোর রোশনাই! আলো-আঁধারির ধাঁধায় এ কোন্ রহস্য? মূল ফ্লোরের পাশাপাশি আছে পর্দাঘেরা গোপন ঘর। এতো গোপনীয়তা কেন — অনুসন্ধানে নামে সময় সংবাদ।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর একটি সড়কে রয়েছে অর্ধশত রেস্টুরেন্ট। অভিযোগ আছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে আড়ালে চলছে সিসা লাউঞ্জের কার্যক্রম। সত্যতা জানতে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সি মানুষ সিসা সেবনে ব্যস্ত। এটি কি রেস্টুরেন্ট নাকি সিসা লাউঞ্জ — জানতে গেলে পালানোর চেষ্টা করেন দায়িত্বরতরা।

একই সড়কে আরেকটি রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায় একই অবস্থা! তবে ক্যামেরা দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার। আরও বেশ কয়েকটি সিসা লাউঞ্জে গিয়েও দেখা যায় একই অবস্থা। কেউ ক্যামেরা দেখে সটকে পড়েন, আবার কেউ চেষ্টা করেন নিজের পক্ষে সাফাই দেয়ার।

হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসব লাউঞ্জে সময় কাটান ধনাঢ্য পরিবারের প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েরা। সূত্র মতে, শাটার নামিয়ে অচেনাদের ‘বন্ধ দেখিয়ে’ চেনাজানা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে লাউঞ্জগুলো।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর তালিকায় সিসাকে মাদকদ্রব্যের ‘খ’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব অবৈধ সিসা বারের অভিযোগ পেলে বন্ধ করে দেয়ার কথা জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দুই থেকে তিনবার করে বন্ধ করার পর আবারও কার্যক্রম চালিয়ে যায় তারা। এদিকে পুলিশ বলছে, এসব সিসা বারের তালিকা পেয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রাতের আঁধারে রাজধানীর অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে মিলছে ভয়াবহ মাদক

আপডেট সময় : ০৫:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর।

রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মিলছে ভয়াবহ মাদক ‘সিসা’। রাতভর এগুলোর সিসা লাউঞ্জে উঠতি বয়সিদের বড় একটা অংশকে দেখা যায় নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে চলছে অবৈধ এসব সিসা লাউঞ্জ — সেটাই প্রশ্ন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

রাতের নগরীতে অভিজাত এলাকায় এ যেন রঙিন আলোর রোশনাই! আলো-আঁধারির ধাঁধায় এ কোন্ রহস্য? মূল ফ্লোরের পাশাপাশি আছে পর্দাঘেরা গোপন ঘর। এতো গোপনীয়তা কেন — অনুসন্ধানে নামে সময় সংবাদ।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর একটি সড়কে রয়েছে অর্ধশত রেস্টুরেন্ট। অভিযোগ আছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে আড়ালে চলছে সিসা লাউঞ্জের কার্যক্রম। সত্যতা জানতে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সি মানুষ সিসা সেবনে ব্যস্ত। এটি কি রেস্টুরেন্ট নাকি সিসা লাউঞ্জ — জানতে গেলে পালানোর চেষ্টা করেন দায়িত্বরতরা।

একই সড়কে আরেকটি রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায় একই অবস্থা! তবে ক্যামেরা দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার। আরও বেশ কয়েকটি সিসা লাউঞ্জে গিয়েও দেখা যায় একই অবস্থা। কেউ ক্যামেরা দেখে সটকে পড়েন, আবার কেউ চেষ্টা করেন নিজের পক্ষে সাফাই দেয়ার।

হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসব লাউঞ্জে সময় কাটান ধনাঢ্য পরিবারের প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েরা। সূত্র মতে, শাটার নামিয়ে অচেনাদের ‘বন্ধ দেখিয়ে’ চেনাজানা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে লাউঞ্জগুলো।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর তালিকায় সিসাকে মাদকদ্রব্যের ‘খ’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব অবৈধ সিসা বারের অভিযোগ পেলে বন্ধ করে দেয়ার কথা জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দুই থেকে তিনবার করে বন্ধ করার পর আবারও কার্যক্রম চালিয়ে যায় তারা। এদিকে পুলিশ বলছে, এসব সিসা বারের তালিকা পেয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।