রাতের আঁধারে রাজধানীর অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে মিলছে ভয়াবহ মাদক

- আপডেট সময় : ০৫:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার,যশোর।
রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মিলছে ভয়াবহ মাদক ‘সিসা’। রাতভর এগুলোর সিসা লাউঞ্জে উঠতি বয়সিদের বড় একটা অংশকে দেখা যায় নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতে। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে চলছে অবৈধ এসব সিসা লাউঞ্জ — সেটাই প্রশ্ন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
রাতের নগরীতে অভিজাত এলাকায় এ যেন রঙিন আলোর রোশনাই! আলো-আঁধারির ধাঁধায় এ কোন্ রহস্য? মূল ফ্লোরের পাশাপাশি আছে পর্দাঘেরা গোপন ঘর। এতো গোপনীয়তা কেন — অনুসন্ধানে নামে সময় সংবাদ।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর একটি সড়কে রয়েছে অর্ধশত রেস্টুরেন্ট। অভিযোগ আছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে আড়ালে চলছে সিসা লাউঞ্জের কার্যক্রম। সত্যতা জানতে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সি মানুষ সিসা সেবনে ব্যস্ত। এটি কি রেস্টুরেন্ট নাকি সিসা লাউঞ্জ — জানতে গেলে পালানোর চেষ্টা করেন দায়িত্বরতরা।
একই সড়কে আরেকটি রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায় একই অবস্থা! তবে ক্যামেরা দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার। আরও বেশ কয়েকটি সিসা লাউঞ্জে গিয়েও দেখা যায় একই অবস্থা। কেউ ক্যামেরা দেখে সটকে পড়েন, আবার কেউ চেষ্টা করেন নিজের পক্ষে সাফাই দেয়ার।
হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসব লাউঞ্জে সময় কাটান ধনাঢ্য পরিবারের প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েরা। সূত্র মতে, শাটার নামিয়ে অচেনাদের ‘বন্ধ দেখিয়ে’ চেনাজানা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে লাউঞ্জগুলো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর তালিকায় সিসাকে মাদকদ্রব্যের ‘খ’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব অবৈধ সিসা বারের অভিযোগ পেলে বন্ধ করে দেয়ার কথা জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দুই থেকে তিনবার করে বন্ধ করার পর আবারও কার্যক্রম চালিয়ে যায় তারা। এদিকে পুলিশ বলছে, এসব সিসা বারের তালিকা পেয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।