এ.কে আজাদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:রাণীশংকৈলে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর দিন উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে ছিল ভক্ত-অনুরাগীদের ঢল। ঢাক-ঢোলের বাজনার সঙ্গে দেবী বিসর্জনের আগে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী "সিঁদুর খেলা"। এ সময় নারী ভক্তরা দেবী দুর্গার চরণে সিঁদুর নিবেদন করে তা কপাল, গাল ও হাতে মেখে একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। তরুণীরা মেতে ওঠেন উচ্ছ্বাসে, আর চারপাশ মুখরিত হয় “দুর্গা মা কি জয়” ধ্বনিতে। সিঁদুর খেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক আচার, যা সৌভাগ্য, স্বামীর মঙ্গল ও পরিবারের শান্তি কামনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। দুপুরের পর থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই অংশ নেন এই উৎসবে। অনেকেই মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখেন। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহলে ছিলেন। উপজেলার ৫৫ টি পূজামণ্ডপে একইভাবে সিঁদুর খেলা ও প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় স্থানীয় নদী ও জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসব। বিদায়ের মুহূর্তে ভক্তদের চোখে ছিল আনন্দের ঝিলিকের পাশাপাশি বিদায় বেদনার ছোঁয়া। পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট। এভাবেই সিঁদুর খেলার উচ্ছ্বাস আর প্রতিমা বিসর্জনের আবেগঘন পরিবেশে পর্দা নামল রাণীশংকৈলের শারদীয় দুর্গোৎসবের।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.