একে আজাদ ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
রাণীশংকৈলের সেই ইটভাটার মাটিতে স্বর্ণ অনুসন্ধানে ভূতত্ত্ব বিভাগের দল
রাণীশংকৈলের স্বর্ণ পাওয়ার খবরে আলোচিত আরবিবি ইটভাটার মাটি সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছেন বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যর একটি দল।ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের স্বর্ণ পাওয়ার খবরে আলোচিত আরবিবি ইটভাটার মাটি সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছেন বাংলাদেশ ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যর একটি দল। ইটভাটার মাটির স্তূপে সোনা পাওয়ার প্রচারিত সংবাদ ও হাইকোর্টে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ জুন) ও বুধবার (৫ জুন) ওই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন তারা।
অনুসন্ধানে সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ ছাড়াও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তূপ, মাটি নিয়ে আসার শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অনুসন্ধান শেষে দলের সদস্যরা বুধবার দুপুরে জানান, তারা রাণীশংকৈল এলাকার তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন, চোখে দেখে এ মাটি পরীক্ষা করেছেন। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য জমা দেবেন।
সংগৃহীত নমুনা অনুযায়ী ওই মাটিতে স্বর্ণ থাকার সম্ভাবনা আছে কি না? জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে সোনা ইত্যাদি থাকতে পারে। বিষয়টি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এদিকে এক মাস ধরে উপজেলার কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবিতে সোনা পাওয়ার আশায় আশপাশের হাজারো মানুষ মাটি খুঁড়তে ছুটে আসে। কেউ কেউ সোনার মোহরসহ বিভিন্ন স্বর্ণের জিনিষ পেয়েছিল বলে লোকমুখে জানা গেছে। তবে বর্তমানে ওই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.