রাজাপুর ও কাঠালিয়া সহ সকলকে বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গোলাম আজম সৈকত

- আপডেট সময় : ০৪:১০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কামরুল হাসান রানা,রাজাপুর ঝালকাঠী:-
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) উপজেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এ দুই উপজেলার সকল জনগনকে পহেলা বৈশাখ এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোয়ন প্রত্যাশী মো. গোলাম আজম সৈকত।
শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোয়ন প্রত্যাশী মো. গোলাম আজম সৈকত বলেন,
বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। পহেলা বৈশাখ
বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আজ বাঙালি জাতির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রধান অঙ্গ পহেলা বৈশাখ। যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ। জাতির জীবনে একটি পরম আনন্দের দিন।জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহবান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যামে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়।
আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।
এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়।পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।তিনি আরও বলেন,‘বাংলা নতুন বছর বয়ে আনুক আপনার ও আপনার পরিবারের সুখ,শান্তি ও সমৃদ্ধি। প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হোক সত্যিকারের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার।