
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:ঝালকাঠির রাজাপুরে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিরোধীয় জমিতে প্রতিপক্ষরা নির্মাণ সামগ্রী রাখে, নির্মাণ সামগ্রী রাখার পরেই ৪ ডিসেম্বর রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শাহিন হাওলাদার। শাহীন হাওলাদার নৈকাঠি এলাকার মৃত হামেদ হাওলাদারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মৃত সৈয়দ ছোবাহান এর ছেলে সৈয়দ মাসুম, সৈয়দ মাহাবুব ও সৈয়দ মানিক সম্পর্কে ভুক্তভোগী শাহীন হাওলাদারের আত্মীয়। তারা শাহীন হাওলাদারের প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বর্তমান জরিপে ১৯.৩৪ শতাংশের রেকর্ড নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে একাধিকবার সালিশ বৈঠক বসলে সালিশগন শাহীনের পক্ষে রায় দেয় এবং রোয়দাদ নামা করে যাতে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর রয়েছে। পরবর্তীতে সালিশগনের রায় অমান্য করে প্রতিপক্ষরা ওই জমি দখলে নিতে চায়। নিরুপায় হয়ে শাহীন জমি ফিরে পেতে আদালতে মামলা রুজু করলে ৩০ নভেম্বর আদালত বিরোধীয় জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। নিষেধাজ্ঞা জারী’র পরে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জমিতে বিল্ডিং নির্মানের জন্য নির্মান সামগ্রী এনে রাখে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ৪ ডিসেম্বর রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শাহীন। ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতের আধারে বিরোধীয় জমেিত বিল্ডিং নির্মানের কাজ শুরু করে সৈয়দ মাসুম। খবরপেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে রাতেই আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করেন প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহিন হাওলাদার অভিযোগ করে জানায়,বর্তমান জরিপে সেটেলমেন্ট এর কিছু অসাধু কর্মকতা-কর্মচারীর যোগ সাজসে উৎকোচের মাধ্যমে আমার রেকর্ডীয় ৪৪ শতাংশ জমির ১৯.৩৪ শতাংশ তাদরে নামে রেকর্ড করে নেয়। তারা বর্তমানে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিল্ডিং নির্মাণ করতেছে। আমি পেশায় একজন রিক্সাচালক এবং অসহায়। তারা আমাকে মারধর ও প্রাণনাশের সহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ বিষয়ে সৈয়দ মাসুম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। আমার ঘর না থাকায় এখানে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে ছিলাম। পুলিশ এসে বাঁধা দেয়ার পরে অল্প কিছু কাজ করছিলাম। এই জমি আমাদের নামে বি.এস রেকর্ড। কিন্তু কিভাবে এই জমি তাদের নামে রেকর্ড হইছে তার কোনো উত্তর দিতে পারেনি সৈয়দ মাসুম।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দীন জানায়, খবরপেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রায়হান সুলতান।
যোগাযোগঃ ৭২/৭-৮ মানিকনগর, মুগদা,ঢাকা-১২০৩
মোবাইলঃ +৮৮০৯৬৩৮০৮৯০১৪
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র. All rights reserved.