ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

রংপুরে গরমের তীব্রতায় বেড়েছে তালশাঁসের কদর

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি, রংপুরঃ
রংপুরে প্রতি বছর এই সময়ে বাজারে বিক্রি হয় তালশাঁস। খেতে সুস্বাদু এই মৌসুমী ফলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় তালের চাহিদা বেশি না থাকায় তাল ছোট থাকতেই শাঁস বিক্রির আশায় এগুলো রংপুর সহ আশে পাশের জেলাগুলোতে নিয়ে আসে ব্যবসায়িরা। তাঁলশাঁসের চাহিদা প্রচুর থাকায় প্রত্যেক ব্যবসায়ি তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ।এ বছরও রংপুর জেলার মর্ডান মোর,বাসষ্ট্যান্ড, মেডিকেল মোড়, বুড়ির হাট,গঙ্গা চড়া,গজঘন্টা বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তালশাঁস ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে বগুড়া জেলার আদমদীঘি থেকে এসেছি। আমরা বগুড়ায় প্রতি বছর তালের বাগান কিনে থাকি। বাগানে প্রায় ১৩০-১৫০টি তালগাছ থাকে। ১ থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাগান কিনে তা থেকে তাল ছোট থাকতেই আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুসারে বিক্রি করে থাকি।
অপর বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, কয়েকদিন হয়েছে রংপুর জেলায় এসেছি। প্রতি পিস তাল ২৫ টাকা বিক্রি করছি। এছাড়াও প্রতিটি তালশাঁস ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি তাল থেকে কমপেক্ষ ৩টি শ্বাস হয়। এছাড়াও কেউ যদি বেশি পরিমানে তাল বা তালশাঁস কিনেন, তাহলে কিছুটা কম টাকা নেওয়া হয়।
রংপুর নগরীর সিটি বাজারের ব্যবসায়ি আব্দুল করিম বলেন, বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা সমাগমও হচ্ছে প্রচুর। প্রতিদিন তাল বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার মত লাভ হচ্ছে।
তালের আঁশ কিনতে আসা ক্রেতা বুড়ির হাটের মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে এটা পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু ও ভাল লাগে। প্রতি পিস তাল থেকে ২-৪ টি আশ পাওয়া যাচ্ছে। বড় প্রতি পিস তাল ৩০ টাকায় কিনেছি। দাম কিছুটা কম হলে আরও বেশি পরিমানে নেওয়া যেতো।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আব্দুল আলী বলেন, তালশাঁস আমার ও পরিবারের সকলের খুব পছন্দের। প্রত্যেক তালের আটি গত বছর ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল; কিন্তু এ বছর ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তালশ্বাসের উপকারিতার ব্যাপারে কথা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা: নুরুল আক্তার হাসুর সাথে।তিনি বলেন, এটি অনেক ভাল জনপ্রিয় ফল। তালের শ্বাঁসেই রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা শরীরে খুবই উপকারী। এটি পানি শুন্যতা দূর করতে সহায়তা করে ।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে, হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও তালশ্বাঁসে রয়েছে ভিটিামিন এ, সি ও বি কমপ্লেক্স যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। সর্বোপরি ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করে তুলতে নিয়ম করে তালের শ্বাঁস খাওয়া খুবই উপকারী।।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রংপুরে গরমের তীব্রতায় বেড়েছে তালশাঁসের কদর

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি, রংপুরঃ
রংপুরে প্রতি বছর এই সময়ে বাজারে বিক্রি হয় তালশাঁস। খেতে সুস্বাদু এই মৌসুমী ফলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় তালের চাহিদা বেশি না থাকায় তাল ছোট থাকতেই শাঁস বিক্রির আশায় এগুলো রংপুর সহ আশে পাশের জেলাগুলোতে নিয়ে আসে ব্যবসায়িরা। তাঁলশাঁসের চাহিদা প্রচুর থাকায় প্রত্যেক ব্যবসায়ি তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ।এ বছরও রংপুর জেলার মর্ডান মোর,বাসষ্ট্যান্ড, মেডিকেল মোড়, বুড়ির হাট,গঙ্গা চড়া,গজঘন্টা বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তালশাঁস ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে বগুড়া জেলার আদমদীঘি থেকে এসেছি। আমরা বগুড়ায় প্রতি বছর তালের বাগান কিনে থাকি। বাগানে প্রায় ১৩০-১৫০টি তালগাছ থাকে। ১ থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাগান কিনে তা থেকে তাল ছোট থাকতেই আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুসারে বিক্রি করে থাকি।
অপর বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, কয়েকদিন হয়েছে রংপুর জেলায় এসেছি। প্রতি পিস তাল ২৫ টাকা বিক্রি করছি। এছাড়াও প্রতিটি তালশাঁস ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি তাল থেকে কমপেক্ষ ৩টি শ্বাস হয়। এছাড়াও কেউ যদি বেশি পরিমানে তাল বা তালশাঁস কিনেন, তাহলে কিছুটা কম টাকা নেওয়া হয়।
রংপুর নগরীর সিটি বাজারের ব্যবসায়ি আব্দুল করিম বলেন, বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা সমাগমও হচ্ছে প্রচুর। প্রতিদিন তাল বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার মত লাভ হচ্ছে।
তালের আঁশ কিনতে আসা ক্রেতা বুড়ির হাটের মো: রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে এটা পাওয়া যায়। খেতে অনেক সুস্বাদু ও ভাল লাগে। প্রতি পিস তাল থেকে ২-৪ টি আশ পাওয়া যাচ্ছে। বড় প্রতি পিস তাল ৩০ টাকায় কিনেছি। দাম কিছুটা কম হলে আরও বেশি পরিমানে নেওয়া যেতো।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আব্দুল আলী বলেন, তালশাঁস আমার ও পরিবারের সকলের খুব পছন্দের। প্রত্যেক তালের আটি গত বছর ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল; কিন্তু এ বছর ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তালশ্বাসের উপকারিতার ব্যাপারে কথা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা: নুরুল আক্তার হাসুর সাথে।তিনি বলেন, এটি অনেক ভাল জনপ্রিয় ফল। তালের শ্বাঁসেই রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা শরীরে খুবই উপকারী। এটি পানি শুন্যতা দূর করতে সহায়তা করে ।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে, হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও তালশ্বাঁসে রয়েছে ভিটিামিন এ, সি ও বি কমপ্লেক্স যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। সর্বোপরি ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করে তুলতে নিয়ম করে তালের শ্বাঁস খাওয়া খুবই উপকারী।।