রংপুরের গঙ্গাচড়ায় 18 মাস বয়সের শিশুকন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ১২:৪৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
 

সেলিম চৌধুরী,জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:
রংপুর জেলার গংগাচড়া মডেল থানার মান্দ্রাইন পূর্ব পাড়া গ্রামের মোঃ দুলু মিয়ার আঠারো মাসের শিশু কন্যা আনহা বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আসামি মোঃ সোহান মিয়া(14) পিতা মোঃ বাবু মিয়া সাং জয়দেব, উত্তর পাড়া, গংগাচড়া রংপুর।
ঘটনাস্থলে সরে জমিনে গেলে মোঃ দুলু মিয়া গণমাধ্যম কর্মীদের জানান গত ২৯-১০ ২০২৫ ইং সকাল আনুমানিক ১০:৪০ ঘটিকায় আমার ১৮ মাসের কন্যা শিশুকে আসামি মোঃ সোহান মিয়া গান শোনার কথা বলে আমার কন্যাকে কোলে করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। আমার মা মোছাঃ দুলালী বেগম আমার মেয়েকে দেখার জন্য বাড়ির সামনে বাহির হইলে আমার মেয়েকে কোথাও দেখিতে না পাইয়া আসামি মোঃ সোহান মিয়ার বাড়িতে শিশু বাচ্চার কান্না শুনতে পাইয়া আমার মা সোহানের বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ঘরের ভিতরে দেখতে পায় আমার মেয়েকে বিছানার উপর শুয়াইয়া আসামি সোহান আমার মেয়ের পায়ুপথে বলাৎকার করিতেছে। ওই সময় আমার মাকে দেখিয়া আসামি সোহান দৌড়ে ঘর থেকে বাহিরে চলে যায়।

আমার মা আমার মেয়ে আনহাকে পায়ুপথে রক্তক্ষরণ অবস্থায় কোলে নিয়ে চিৎকার করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি ও আমার স্ত্রী মোছাঃ সাজেদা বেগম আমার মেয়ের পায়ুপথে রক্তক্ষরণ দেখিয়া চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করি।
আমার স্ত্রী ও মায়ের কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনিয়া আসপাস হতে সাক্ষী 1/মোছাঃ সালেহা বেগম, স্বামী মোঃ আব্দুল হাদি, সাং মান্দাইন পূর্বপাড়া2/মোছাঃ মোহছেনা বেগম, স্বামী মোঃ মাহফুজুর রহমান,3/মোছাঃ শাহানা বেগম, স্বামী মোঃ আব্দুল করিম,সর্ব সাং জয়দেব উত্তরপাড়া, গংগাচড়া রংপুর।
উপস্থিত সাক্ষী গন ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আমার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তাৎক্ষণিক আমার মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ১৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করাই। এবং ওই দিনেই 29 /10/25 ইং তারিখে গংগাচড়া মডেল থানায় আসিয়া একটি এজাহার দায়ের করি। যাহার মামলা নং 39/556 ।
এ বিষয়ে অত্র এলাকার চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বললে ওনারা আসামি সোহান মিয়ার এই ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে আমার মেয়ে আনহা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এবং আসামি সোহান ঘটনার দিন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ চারদিন অতিবাহিত হলেও আসামি সোহানকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
সর্বশেষে অত্যন্ত দুঃখের সহিত দুনু মিয়া ও এলাকাবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের কলমের লিখনির মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।।
																			
										


















