ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় পার্টির কাধে ভর দিয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে আসতে চায় -আলতাফ হোসেন চৌধুরী ঠাকুরগাঁয়ে ভাং বাড়ি ফুটকিবাড়ী বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নির্মল পরিবেশ শ্যামনগরে প্যাথলজী গুলোতে অভিযান ২ টিতে জরিমানা, ১ টি বন্ধ শাল্লায় মরণফাঁদে চাকুয়া-মিলনবাজার রাস্তা : প্রায় ৩ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত  ঠাকুরগায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু সাবেক এমপি ফজলে করিমের সহযোগী হিসাবে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব করেছেন কাজী বশর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে চরম বিপদে, সহযোগিতা কামনা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইকগাছা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা হারুয়ালছড়িতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ সোনাগাজীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সান জেনারেল হাসপাতালের মতবিনিময়

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১২১ বার পড়া হয়েছে

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গজঘন্টা ইউনিয়নের গাওছোয়া এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন ১৫-২০টি বালুবাহী গাড়ি দিয়ে নদী থেকে বালু পরিবহণ করছে একটি চক্র।
বালু উত্তোলনের ফলে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হুমকির মুখে পড়বে বলে সচেতন মহল মনে করছে। সেই সাথে নদী-তীরবর্তী গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও আবাদি জমি ভাঙনের সম্মুখিন হয়ে পড়বে।
সরেজমিনে গাওছোয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো। নিজের ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল মানুষ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে, এভাবে বালু উত্তোলন করলে নদীর গতি পরিবর্তিত হয় এবং নদীর পাড় ভেঙে যায়। অর্থাৎ নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিরও ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গুটিকয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই শত শত বাড়িঘর ও ফসলী জমি তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আর প্রতিদিন ট্রাকে করে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের কারণে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সেই সাথে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনের জমি দখল করে ট্রাক গাড়ি চলাচলের অভিযোগও রয়েছে। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই প্রভাবশালী বলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেন না। দিন-রাতে ১৫-২০টি বালুবাহী গাড়ি দিয়ে নদী থেকে বালু পরিবহন করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জমির মালিক বলেন, ‘কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু ও মাটি উত্তোলন। এ বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। তিস্তা নদীতে গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তার খেসারত দিতে হয় নদী ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির। অনেক গাছপালা যায় নদীগর্ভে।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, বালু ব্যবসায়ীদেরj বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

আপডেট সময় : ০৪:১২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গজঘন্টা ইউনিয়নের গাওছোয়া এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন ১৫-২০টি বালুবাহী গাড়ি দিয়ে নদী থেকে বালু পরিবহণ করছে একটি চক্র।
বালু উত্তোলনের ফলে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হুমকির মুখে পড়বে বলে সচেতন মহল মনে করছে। সেই সাথে নদী-তীরবর্তী গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও আবাদি জমি ভাঙনের সম্মুখিন হয়ে পড়বে।
সরেজমিনে গাওছোয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো। নিজের ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল মানুষ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে, এভাবে বালু উত্তোলন করলে নদীর গতি পরিবর্তিত হয় এবং নদীর পাড় ভেঙে যায়। অর্থাৎ নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিরও ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গুটিকয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। তাদের দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই শত শত বাড়িঘর ও ফসলী জমি তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আর প্রতিদিন ট্রাকে করে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের কারণে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সেই সাথে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনের জমি দখল করে ট্রাক গাড়ি চলাচলের অভিযোগও রয়েছে। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই প্রভাবশালী বলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেন না। দিন-রাতে ১৫-২০টি বালুবাহী গাড়ি দিয়ে নদী থেকে বালু পরিবহন করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জমির মালিক বলেন, ‘কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু ও মাটি উত্তোলন। এ বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। তিস্তা নদীতে গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তার খেসারত দিতে হয় নদী ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির। অনেক গাছপালা যায় নদীগর্ভে।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, বালু ব্যবসায়ীদেরj বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।