ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ-সুবিধা চালু সদস্য পরিচিতি সভা ও নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মাদক নির্মূলে আমাদের করণীয় আলোচনা সভা চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

যে দোকানেই থাকবে কোক, সেই দোকানই বয়কট হোক

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ২২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোকাকোলা পণ্যের বয়কটের ডাক ওঠে। সে সময় বয়কটের মুখে পড়ে বিক্রি কমে যায় এক সময়ের জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলার। তবে কিছুদিন পরে মানুষ এ বয়কট মনে রাখেনি। ফলে কোকাকোলা বিক্রি আবার কিছুটা বেড়ে যায়। এখন থেকে আবার নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে কোকাকোলা বয়কটের ডাক। নেটিজেনরা এখন সারা জীবনের জন্য এ পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোম্পানি ও পণ্য বয়কটের ঘোষণায় বিভিন্ন দেশে এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ড। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে বয়কটের ডাকে বিখ্যাত ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস এখন লোকসানের মুখে। শুধু ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতেই নয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে পণ্য বয়কটের ডাক আসে।
আহমেদ রফিক (হাফি) বলেন, যে দোকানেই থাকবে কোক, সেই দোকানই বয়কট হোক।
আজাদুল ইসলাম আদনান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এখন থেকে এটাই হোক। বয়কটের শক্তি কতটা দৃঢ় হতে পারে তা ভাইরাল ভিডিওই বলে দেয়। জয় হোক মানবতার, জয় হোক মনুষ্যত্বের।
এস এম নাজমুস সাকিব নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি ভারতের সকল পণ্য বর্জন করেছি। এছাড়া ফিলিস্তিনকে সমর্থন স্বরূপ ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জন করেছি।
জাহিদুল ইসলাম মোল্লা নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, কোকাকোলা সম্পর্কে জানার পর থেকে একটিও আমি কিনি নাই। দোকানে মোজো পাইলে নিয়েছি, না পাইলে কিছু না নিয়ে চলে এসেছি। যেহেতু আমি সরাসরি ফিলিস্তিন গিয়ে সাহায্য করতে পারব না,
সেজন্য মোজো কিনে যদি এক টাকার সাহায্য করা হয়, তবে এতেই আমার সার্থকতা রয়েছে।

শহিদ হোসাইন ভূঁইয়া নামে একজন লিখেছেন, যে দোকানেই থাকবে কোক! সেই দোকানই বয়কট হোক।
মোহাম্মদ নূর কাদের জিদান নামে একজন লিখেছেন, মুসলমানরা ভালো করেই জানে, ইসরায়েলের কোনো পণ্য খাওয়া মানে আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইদের রক্ত খাওয়ার মতো। যতই চেষ্টা করুক না কেন, যাদের হৃদয়ে আল্লাহর প্রেম থাকবে তারা কখনও এই কোক বা ইসরায়েলের কোনো পণ্যই ব্যবহার করবে না।
উল্লেখ্য, কোনো পণ্য, ব্যক্তি, সংস্থা বা দেশকে রাজনৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশগত যেকোনো কারণে বর্জন করা, স্বেচ্ছায় সেবা নেওয়া বা পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকাটাই মূলত বয়কট। সোজা কথায়, কোনো এক ইস্যু নিয়ে বিরোধিতার কারণে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য, মানুষ বা দেশকে বর্জন করা। পণ্য বয়কটের ডাক প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যে দোকানেই থাকবে কোক, সেই দোকানই বয়কট হোক

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া:-
কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোকাকোলা পণ্যের বয়কটের ডাক ওঠে। সে সময় বয়কটের মুখে পড়ে বিক্রি কমে যায় এক সময়ের জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলার। তবে কিছুদিন পরে মানুষ এ বয়কট মনে রাখেনি। ফলে কোকাকোলা বিক্রি আবার কিছুটা বেড়ে যায়। এখন থেকে আবার নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে কোকাকোলা বয়কটের ডাক। নেটিজেনরা এখন সারা জীবনের জন্য এ পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।

জানা গেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোম্পানি ও পণ্য বয়কটের ঘোষণায় বিভিন্ন দেশে এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ড। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে বয়কটের ডাকে বিখ্যাত ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস এখন লোকসানের মুখে। শুধু ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতেই নয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে পণ্য বয়কটের ডাক আসে।
আহমেদ রফিক (হাফি) বলেন, যে দোকানেই থাকবে কোক, সেই দোকানই বয়কট হোক।
আজাদুল ইসলাম আদনান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এখন থেকে এটাই হোক। বয়কটের শক্তি কতটা দৃঢ় হতে পারে তা ভাইরাল ভিডিওই বলে দেয়। জয় হোক মানবতার, জয় হোক মনুষ্যত্বের।
এস এম নাজমুস সাকিব নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি ভারতের সকল পণ্য বর্জন করেছি। এছাড়া ফিলিস্তিনকে সমর্থন স্বরূপ ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জন করেছি।
জাহিদুল ইসলাম মোল্লা নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, কোকাকোলা সম্পর্কে জানার পর থেকে একটিও আমি কিনি নাই। দোকানে মোজো পাইলে নিয়েছি, না পাইলে কিছু না নিয়ে চলে এসেছি। যেহেতু আমি সরাসরি ফিলিস্তিন গিয়ে সাহায্য করতে পারব না,
সেজন্য মোজো কিনে যদি এক টাকার সাহায্য করা হয়, তবে এতেই আমার সার্থকতা রয়েছে।

শহিদ হোসাইন ভূঁইয়া নামে একজন লিখেছেন, যে দোকানেই থাকবে কোক! সেই দোকানই বয়কট হোক।
মোহাম্মদ নূর কাদের জিদান নামে একজন লিখেছেন, মুসলমানরা ভালো করেই জানে, ইসরায়েলের কোনো পণ্য খাওয়া মানে আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইদের রক্ত খাওয়ার মতো। যতই চেষ্টা করুক না কেন, যাদের হৃদয়ে আল্লাহর প্রেম থাকবে তারা কখনও এই কোক বা ইসরায়েলের কোনো পণ্যই ব্যবহার করবে না।
উল্লেখ্য, কোনো পণ্য, ব্যক্তি, সংস্থা বা দেশকে রাজনৈতিক, সামাজিক বা পরিবেশগত যেকোনো কারণে বর্জন করা, স্বেচ্ছায় সেবা নেওয়া বা পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকাটাই মূলত বয়কট। সোজা কথায়, কোনো এক ইস্যু নিয়ে বিরোধিতার কারণে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য, মানুষ বা দেশকে বর্জন করা। পণ্য বয়কটের ডাক প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।