ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাগেরহাটে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা হরিপুরে সরাসরি গোখরা সাপ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলা দক্ষিণ রাউজানে মহানবমী পূজা উদযাপন ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে ১৯টি পূজা মন্ডপে অনুদানের চেক বিতরণ বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম পশ্চিম গুজরায় জ্বালা কুমারী তরুণ সংঘে উগ্যােগে দুর্গোৎসব উদযাপন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক গাজীপুরে হাইওয়ে রোডে দেহ ব্যবসার আড়ালে চাঁদাবাজি, এলাকাবাসীর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি ঝিনাইদহে বাসচাপায় শিশুসহ ২ জন নিহত রাণীশংকৈলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

যশোরে বৈষম্য বিরোধী নেতা সুজনকে জনতার গণধোলাই

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১২০ বার পড়া হয়েছে

সুলাইমান কবির রাব্বি, জেলা প্রতিনিধি: যশোর

২২শে এপ্রিল রাতে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদক কারবারিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এস কে সুজনকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

এ সময় স্থানীয়দের রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা জীবন, অন্তর, বিজয়সহ আরও কয়েকজন বিতর্কিত যুবক দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। ৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি তারা পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বাসিন্দারা সম্প্রতি মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা মাদক কারবারিদের এলাকায় দেখে সতর্ক করেন। এর জেরে রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী নেতা পরিচয়দানকারী সুজনসহ মাদক কারবারিরা ৮–১০টি মোটরসাইকেলে করে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে আসে। এ সময় তারা স্থানীয়দের হুমকি ধামকি দিতে থাকে, ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হট্টগোলের মধ্যে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সুজনকে ধরে ফেলে এবং তাকে গণধোলাই দেয়। মাদক কারবারিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। ঠিক সে সময় সেন্ট্রাল রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি হট্টগোল দেখে গাড়ি থেকে নেমে সুজনকে উদ্ধার করেন এবং তাকে মাদকের পক্ষ নেওয়ার কারণে ভৎসনা করেন। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সুজন হোসেনের মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, “সুজন আমাদের জেলা শাখার সদস্য। শুনেছি ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে, তবে তা মীমাংসা হয়েছে।”

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার তদন্ত ওসি কাজী বাবুল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “যশোরে বৈষম্য বিরোধী নেতা সুজনকে জনতার গণধোলাই

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যশোরে বৈষম্য বিরোধী নেতা সুজনকে জনতার গণধোলাই

আপডেট সময় : ০২:০৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

সুলাইমান কবির রাব্বি, জেলা প্রতিনিধি: যশোর

২২শে এপ্রিল রাতে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদক কারবারিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এস কে সুজনকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

এ সময় স্থানীয়দের রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা জীবন, অন্তর, বিজয়সহ আরও কয়েকজন বিতর্কিত যুবক দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। ৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। তবে সম্প্রতি তারা পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বাসিন্দারা সম্প্রতি মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা মাদক কারবারিদের এলাকায় দেখে সতর্ক করেন। এর জেরে রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী নেতা পরিচয়দানকারী সুজনসহ মাদক কারবারিরা ৮–১০টি মোটরসাইকেলে করে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে আসে। এ সময় তারা স্থানীয়দের হুমকি ধামকি দিতে থাকে, ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হট্টগোলের মধ্যে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সুজনকে ধরে ফেলে এবং তাকে গণধোলাই দেয়। মাদক কারবারিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। ঠিক সে সময় সেন্ট্রাল রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি হট্টগোল দেখে গাড়ি থেকে নেমে সুজনকে উদ্ধার করেন এবং তাকে মাদকের পক্ষ নেওয়ার কারণে ভৎসনা করেন। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সুজন হোসেনের মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, “সুজন আমাদের জেলা শাখার সদস্য। শুনেছি ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে, তবে তা মীমাংসা হয়েছে।”

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার তদন্ত ওসি কাজী বাবুল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।